করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন
করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার ভোট। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। এদিকে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু ২৭ মার্চ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে গিয়ে পোস্টাল ব্যালটে ভোট সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত। ধীরে হলেও আক্রান্ত বাড়ছে রাজ্যেও। এবার সেই সংক্রান্ত গাইডলাইন দিল স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার ভোট। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছেন। এদিকে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু ২৭ মার্চ। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কমিশনের কাছে পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করা হয়েছিল।
করোনা হলেও দেওয়া যাবে ভোট। গাইডলাইন দিল স্বাস্থ্য দফতর। চিহ্নিত করোনা আক্রান্তদের ডিইও’র কাছে অনলাইনে ১০ডি ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে। প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় তৈরি হবে করোনা আক্রান্ত ভোটারদের তালিকা। প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য কোভিড আক্রান্তদের ভোট সংগ্রহের জন্য পোলিং অফিসার চিহ্নিত হবে।
কোন পদ্ধতিতে ভোট
* আগে থেকেই চিহ্নিত করা হবে করোনা আক্রান্ত ভোটারদের বাড়ি।
* পুলিস আধিকারিকদের নিয়ে পোলিং অফিসারেরা যাবেন ভোটারদের বাড়ি।
* পুলিস ও পোলিং অফিসার সার্জিকাল মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড আর সার্জিকাল ক্যাপ পরে থাকবেন। ভোটারের সঙ্গে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হবে খাম-সহ পোস্টাল ব্যালট।
* হাত স্যানিটাইজ করে বাড়ির ভিতরে ঢুকে সেই ব্যালটে ভোটদান করোনা আক্রান্ত ভোটারের।
* খাম পুরোনো জায়গায় রেখে দেওয়া হবে।
* ভোটারের সামনেই সেই খাম সিল করে ব্যাগে রাখবেন ভোটকর্মী।
* গ্লাভস স্যানিটাইজ করে সঙ্গে সঙ্গে খুলে আলাদা প্যাকেটে রাখবেন ভোটকর্মী।
* সমস্ত করোনা আক্রান্তের ভোট সংগ্রহের সময় ভোটকর্মীদের একবারও মাস্ক না খোলার পরামর্শ।
সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমাতে করোনা আক্রান্ত ভোটারের পোস্টাল ব্যালট অন্তত ৭২ ঘণ্টা রাখা হবে নিরাপদ স্থানে। ৭২ ঘণ্টা পর সেই ব্যালটের গণনা করা হবে। সবমিলিয়ে কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট পরিচালনা প্রশাসনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।