WB Election Voting first phase: 'ছাপ্পা' দিতে বাধা, 'শান্তিপূর্ণ' ভোটে পুলিসের সামনেই প্রার্থীর চুল টেনে-জামা ছিঁড়ে মারধর
"গাড়ির লক ভেঙে দেয়। গাড়িতে ব্যাট দিয়ে মারে। গাড়ির কাঁচ ভাঙার চেষ্টা করে। মাথার চুল ধরে টেনে মারধর করে। জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেয়।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে প্রথম দফার ভোট (WB Election Voting first phase) মোটের উপর শান্তিপূর্ণ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে শাসকদলের কর্মীদের ছাপ্পা দিতে বাধা দেওয়ায় পুলিসের সামনেই মারধরের অভিযোগ করলেন এক প্রার্থী। অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের হামলার হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি নিজেও। এদিকে সেক্টর অফিসারকে ফোন করেও কোনও সাহায্য মেলেনি। এমনই অভিযোগ করেছেন খড়্গপুর (Kharagpur) বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থী সৈয়দ সাদ্দাম আলি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত বীরসিংহপুর গ্রামে ৩৯ নম্বর বুথে। খড়্গপুর (Kharagpur) বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থী সৈয়দ সাদ্দাম আলি জানিয়েছেন, ওই বুথে তাঁদের পোলিং এজেন্ট ছিলেন হাফিজুল ইসলাম। তিনি খবর পান যে, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। সেই খবর পেয়েই তিনি বুথে আসেন। প্রার্থী সৈয়দ সাদ্দাম আলির অভিযোগ, বুথে এসে তিনি দেখতে পান একশো থেকে দেড়শো জন লোক চারপাশে জমায়েত করে রয়েছে। ছাপ্পা দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল তাঁরা। এই দেখে তিনি সেক্টর অফিসারকে ফোন করেন। কিন্তু সেক্টর অফিসার মুখের উপর ফোন কেটে দেন। বলেন, "এসব বাদ দিন তো।" এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তিনি জমায়েতের কথা জানান। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন, WB assembly election 2021 : 'বোরখা' বিতর্কে বিশ বছরের বেশি ভোট দেয় না বাংলার এই গ্রামের মহিলারা
এরপরই দলীয় কর্মীকে গাড়িতে তুলে বুথ থেকে ফেরার সময় হামলা চালায় শাসকদল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রার্থী জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ির লক ভেঙে দেয়। গাড়িতে ব্যাট দিয়ে মারে। গাড়ির কাঁচ ভাঙার চেষ্টা করে। সেইসঙ্গে তাঁকেও মারধর করা হয়। তাঁর মাথার চুল টেনে ধরে মারা হয়। জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে দেহরক্ষী হিসেবে একজন পুলিসকর্মী ছিলেন। তাঁর সামনেই তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি ওই পুলিসকর্মীকেও মারধর করা হয়।
এঘটনায় খড়্গপুর (Kharagpur) বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম (CPIM) প্রার্থী সৈয়দ সাদ্দাম আলি কড়া তোপ দাগেন। সৈয়দ সাদ্দাম আলি বলেন, "এভাবে ভোট হলে এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। দরকার নেই এভাবে ভোট হওয়ার।" যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।