WB Panchayat Election 2023: রবিবাসরীয় প্রচারে ধুন্ধুমার, রাজ্যজুড়ে সংঘর্ষ শাসক-বিরোধীর
WB Panchayat Election 2023: পুলিসের সামনেই দুই পক্ষ একে অপরের দিকে তেড়ে আসে। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, জেলা সভাপতি দিলিপ দে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। অন্যদিকে মহিলা সিপিএম প্রার্থীকে রাতের অন্ধকারে লোহার রোড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের ইছানগরী এলাকায় আইএসএফ প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতির প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নির্বাচনী প্রচার ঘিরে উত্তেজনা। সম্মুখসমরে তৃণমূল ও বিজেপি। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে দুই দল। ঘটনার সূত্রপাত শেষ রবিবাসরীয় প্রচারকে ঘিরে। বিজেপির অভিযোগ তাদের নেতা, কর্মীরা রতিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপুই কোলিয়ারি সংলগ্ন এলাকায় প্রচারে এলে রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি বিনোদ নুনিয়ার নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরা তাদের ওপর চড়াও হয়ে চড় থাপ্পড় মারে। গলায় বিজেপির যে উত্তরীয় ছিল তা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে রানিগঞ্জ থানার পুলিস।
পুলিসের সামনেই দুই পক্ষ একে অপরের দিকে তেড়ে আসে। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, জেলা সভাপতি দিলিপ দে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: WB Panchayat Election 2023: ফের উত্তপ্ত বাসন্তী, শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজির অভিযোগ
তিনি ঘটনার প্রতিবাদে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিসকে। বিজেপির অভিযোগ খন্ডন করে তৃণমূলের রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃনমূল প্রার্থী বিনোদ নুনিয়া জানান ‘প্রচার করতে এসে আমাদের দলের নেত্রীর উদ্দেশ্যে চোর চোর শ্লোগান দিচ্ছিলো বিজেপির কয়েকজন বহিরাগত কর্মী ও সমর্থক। তারাই তৃণমূলের ব্যানারও ছিঁড়ে দেয়’। দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিস।
অন্যদিকে মহিলা সিপিএম প্রার্থীকে রাতের অন্ধকারে লোহার রোড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । আহত অবস্থায় ওই মহিলা সিপিএম প্রার্থী বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের গোবিন্দকাটি পঞ্চায়েতের ২১৫ নম্বর বুথে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: Jangipara: বিজেপি প্রার্থীকে লক্ষ্য করে উড়ে এল অজানা বস্তু, বোমা নাকি সুতলি দড়ি ধন্দে এলাকাবাসী
অভিযোগ শনিবার রাতে গোবিন্দকাটি পঞ্চায়েতের ২১৫ নম্বর বুথের সিপিআইএম প্রার্থী চন্দনা মন্ডল ঘর থেকে বেরিয়ে বাথরুমে যাওয়ার সময় তার ওপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। লোহার শাবল দিয়ে তাকে মারধর করা হয়। তাঁর চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালায়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় চন্দনা মন্ডলকে প্রথমে যোগেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই হামলার কথা অস্বীকার করে বলা হয়েছে এই চন্দনা মন্ডল আগে বিজেপি করত এখন সিপিএমের প্রার্থী হয়েছে এই মারধরের ঘটনা তাদের নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
একই সঙ্গে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের ইছানগরী এলাকায় আইএসএফ প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতির প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের অভিযোগ নির্দিষ্ট অনুমতি থাকা সত্ত্বেও তাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও মারধর শুরু করে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
পোস্টার ব্যানার ছিঁড়ে দেওয়া, মাইক ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। প্রচার চলাকালীন ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আইএসএফ প্রার্থী দীননাথ মুখার্জিকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস পৌঁছায়। পরে আইএসএফ কর্মীরা থানায় গিয়ে পুলিসের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে আইএসএফ কর্মীরা নিজেরাই এসব নাটক করে তাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
অন্যদিকে আইএসএফ তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা কৃষ্ণপুর। ঘটনায় আহত উভয় পক্ষের ১০, গুরুতর অবস্থায় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী। তৃণমূলের অভিযোগ রবিবার সকালে তৃণমূলের এক প্রার্থী কৃষ্ণপুর এলাকায় প্রচার করতে যাওয়ার সময়, তাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায় isf কর্মীরা। আর তার থেকেই এই ঘটনা সুত্রপাত। আইএসএফ এর অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা একত্রিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। গোটা ঘটনায় এলাকায় রয়েছে চরম উত্তেজনা। এলাকায় পুলিসের টহল চলছে। বন্ধ রয়েছে সমস্ত দোকানপাট।