WB Panchayat Election 2023: গণনাকেন্দ্র থেকে চুরি সিসিটিভি-হার্ডডিস্ক, ট্যুইটার তোপ সুকান্ত মজুমদারের
গণনার দিন বিকেলে গণনায় কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগ করে জেলা শাসকের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন সুকান্ত মজুমদার। এরপর রাত্রি বারোটা থেকে ভোর সাড়ে চারটে পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ ছিল গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি করা হচ্ছে এবং সেটা প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই। এই ঘটনার পরে সিসিটিভি চুরি যাওয়ার যে তথ্য সামনে এসেছে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
শ্রীকান্ত ঠাকুর: আস্ত সিসিটিভি ও তার হার্ডডিস্ক চুরি করে নিয়ে গেল চোর। তাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকা গণনা কেন্দ্র থেকে। এমনটাই অভিযোগ দায়ের করছেন বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ শিকদার। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটের গণনা তারিখ ছিল ১১ জুলাই। ১২ জুলাই বালুরঘাট সদরের বিডিও, বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, বালুরঘাট কলেজের গণনা কেন্দ্রে লাগানো সিসিটিভি এবং তার সঙ্গে হার্ডডিস্ক চুরি হয়ে গিয়েছে গণনা কেন্দ্র থেকে। বিডিও-র করা এই অভিযোগকে ঘিরেই রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। অবশ্য প্রশাসনের তরফ থেকে জেলাশাসক বা ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক কেউ ফোন ধরেননি।
গণনার দিন বিকেলে গণনায় কারচুপি হয়েছে এই অভিযোগ করে জেলা শাসকের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন সুকান্ত মজুমদার। এরপর রাত্রি বারোটা থেকে ভোর সাড়ে চারটে পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ ছিল গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি করা হচ্ছে এবং সেটা প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই। এই ঘটনার পরে সিসিটিভি চুরি যাওয়ার যে তথ্য সামনে এসেছে তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
রাজ্য সভাপতি দাবি করেছেন এটা পরিকল্পিত এবং যেহেতু বিজেপি বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবে এবং আদালত সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইতে পারে তাই আগেভাগেই সেগুলিকে হারিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।
অন্যদিকে তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বিষয়টিকে নতুন আরেকটি নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলছেন এই ঘটনার সত্যতা তার জানা নেই যদি সিসিটিভি চুরি হয়ে থাকে প্রশাসন প্রশাসনের মতো ব্যবস্থা নেবে।
মূলত ত্রিস্তর নিরাপত্তায় থাকা গণনা কেন্দ্রের সিসিটিভি কিভাবে চুরি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বালুরঘাট কলেজেও স্থায়ী সিসিটিভি রয়েছে। তারপরেও কী করে সিসিটিভি চুরি হল তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। কলেজ সূত্রের খবর গণনার পরেও দু’দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল বালুরঘাট কলেজ চত্বরে এবং সাধারণ মানুষের আনাগোনা বন্ধ ছিল। তারপরেও কী করে সিসিটিভি-র মতন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই নিয়ে ট্যুইটারে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে ভোটের আগের রাত থেকে ব্যালট বাক্স খুলে ছাপ্পা, ভোটের দিন সন্ত্রাস করে ছাপ্পা, বৈধ ব্যালট লুঠ করে ফেলে দেওয়া, গণনাকেন্দ্রে বিডিও সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের মদতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের সাহায্যে কারচুপি করে তৃণমূলকে জেতানোর ঘটনা তো ছিলোই। বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সাহেব নতুনত্ব যোগ করলেন ~ "গণনাকেন্দ্র থেকে Memory Card সহ আস্ত CCTV ক্যামেরা উধাও এর অভিযোগ"। বিডিও সাহেবের গলায় অনৈতিক কাজগুলো কাঁটার মতো বিঁধে গেছে, না পারছেন গিলতে না পারছেন বার করতে। আইনের নজর থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতেই CCTV উধাও করে দেওয়া হলো না তো ? পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে প্রত্যেকটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আমরা মহামান্য উচ্চ আদালতের নজরে আনবো এবং এর বিরূদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো’।