Sukanta Majumdar: অমিত শাহকে সব বলব, চাবি ঘোরালে অপারেশন শুরু হয়ে যাবে, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর
অনুব্রত মণ্ডলকে আবার ডেকেছে। যাব না বলছে। যেতে তো তোমাকে হবেই। আমি কথা দিচ্ছি এমন আতিথেয়তা করবে ইডি তোমার আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না। সবে একজন ভিতরে গেছে। আরও লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
বিধান সরকার: চিন্তা নেই। আমরাই ইডিকে পাঠিয়ে দেব। অনুব্রত মণ্ডল-সহ নাম না করে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি প্রেসিডেন্ট সুকান্ত মজুমদার। রবিবার চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ের সভায় এবাবেই তৃণমূল নেতাদের নিশানা করলেন সুকান্ত। এদিন ওই সভায় সুকান্ত বলেন, মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে বলছি অসিত চোর, তপন চোর। তৃণমূলের সবাই চোর। চুরি করুন অসুবিধা নেই। হিসেবটা যখন বেশি হয়ে যাবে তখন ইডি চলে আসবে বাড়িতে। চিন্তা নেই আমরা পাঠিয়ে দেব। অনুব্রত মণ্ডলকে আবার ডেকেছে। যাব না বলছে। যেতে তো তোমাকে হবেই। আমি কথা দিচ্ছি এমন আতিথেয়তা করবে ইডি তোমার আর ফিরতে ইচ্ছে করবে না। সবে একজন ভিতরে গেছে। আরও লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের বিরোধী দলের লোকেরা যে সমস্ত কথা বলছে, সেটিং এর তত্ব নিয়ে আসছে আমি বলছি ১৫ দিন অপেক্ষা করুন। কী ভয়ঙ্কর সেটিং হয়েছে তা দেখতে পাবেন।
মমতাকে নিশানা করে সুকান্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে গিয়েছেন এক হাজার কোটি টাকার নাকি লিস্ট বানিয়ে নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কেউ দেখা করতে গেলে আমরা যেমন সাংসদ হিসেবে দেখা করি সেরকমই দেখা করতে হবে। পিনারাই বিজয়নের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী দেখা করেন। আমরা সেই পিনারাই বিজয়ন এর সঙ্গে দেখা করি যারা বিরুদ্ধে বিজেপি আরএসএস কর্মিদের খুনের অভিযোগ আছে। তার সঙ্গে দেখা করি কারণ ভারতবর্ষের সংবিধানের নির্দিষ্ট একটা মানদণ্ড আছে। একজন মুখ্যমন্ত্রীর যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান প্রধানমন্ত্রীর সময় দিতে বাধ্য। তিনি না করতে পারেন না। কিন্তু সিপিএম কংগ্রেস সেটিং বলে হাওয়া দিচ্ছে। আসল সেটিং তো আপনাদের সঙ্গে। যেদিন সোনিয়া গান্ধী আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়িতে ইডি গেল সেদিন সীতারাম ইয়েচুরি বলতে লাগলেন ইডির অপব্যবহার হচ্ছে। এরা পর্দার আড়ালে থাকে। এটা হল আসল সেটিং। আর আমাদের কোন সেটিং হতে পারে না। কারণ ২০০ জন কার্যকর্তা আমাদের বলিদান দিয়েছে তাদের রক্তের হিসাব যতদিন না পাব ততদিন লড়াই চলবে। কালকে দিল্লি যাব সংসদে গুরুত্বপূর্ণ বিল আছে। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করব। আর যদি লোকসভা চলে তাহলে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। সব বৃত্তান্ত জানিয়ে বলব যাতে তার মাথাতেও এই নামগুলো ঢুকে যায়। আর তিনি যখন চাবি ঘোরাবেন তখন দেখবেন একটার পর একটা অপারেশন শুরু হয়ে যাবে। চিন্তা নেই সময় এসেছে চোরেদের জেলে ঢোকানোর।
চুঁচুড়ায় ওই প্রতিবাদ মিছিল শেষে ঘড়ি মোড়ে সভা করেন। সেখানেই চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে আক্রমণ করেন। বলেন, চোর বললে আপনার মাথা গরম হচ্ছে কেন? আপনার নেত্রী তো প্রশাসনিক বৈঠকে বলোছিলেন অসিত ভাগ করে খাও। গত ৫ আগস্ট চুঁচুড়া খাদিনা মোড়ে বিজেপি মিছিলে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তৃনমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় চার বিজেপি কর্মী গ্রেফতার হন। তারই প্রতিবাদে আজ কর্মসূচি নেয় বিজেপি। সভা শেষে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি বিজেপি নেতা রাজীব নাগকে দেখতে যান সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপি সভাপতির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছিলেন। আর সেটা ছিল ইন্ডোর স্টেডিয়ামের।ভালোর জন্যই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তা না বুঝে সুকান্ত মজুমদার এসব বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করছেন সেই বক্তব্যই তো বলছেন সুকান্তবাবু। ইডি-সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানোর কথা বলছেন। মানুষ সবই দেখছে, শুনছে। আমার গাড়ি আটকে হেনস্থা করা হয়েছিল। তাই প্রতিরোধ করেছি। প্রত্যেক মানুষের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। আমাকে কেউ আক্রমন করলে তাকে আমি চুমু খাবো না। সাফ কথা বিধায়কের।