গ্রিন বাজিতে QR CODE বাধ্যতামূলক, অনিশ্চয়তা কাটিয়ে রাজ্য জুড়ে ১০টি বাজি বাজার
একের পর এক বাজি কারখানার বিস্ফোরণ ও দুর্ঘটনার জেরে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল ঠিকই তবে কালীপুজোর ১৪ দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ বাজী শিল্প উন্নয়ন সমিতির রাজ্য সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না জানিয়ে দিলেন, মূলত তামিলনাড়ুর শিবকাশি থেকে আসা QR CODE যুক্ত গ্রিন বাজির ওপর ভরসা রেখেই তারা রাজ্যে মোট ১০টি বাজি বাজার বসাচ্ছেন এবার।
অয়ন ঘোষাল: অনিশ্চয়তা কাটিয়ে এবারও রাজ্য জুড়ে বাজি বাজার। এগরা থেকে মহেশতলা, একের পর এক বাজি কারখানার বিস্ফোরণ ও দুর্ঘটনার জেরে প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল ঠিকই তবে কালীপুজোর ১৪ দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ বাজী শিল্প উন্নয়ন সমিতির রাজ্য সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না জানিয়ে দিলেন, মূলত তামিলনাড়ুর শিবকাশি থেকে আসা QR CODE যুক্ত গ্রিন বাজির ওপর ভরসা রেখেই তারা রাজ্যে মোট ১০টি বাজি বাজার বসাচ্ছেন এবার।
আরও পড়ুন, Bengal Weather Update: তাপমাত্রা নামল কুড়ির নীচে তবুও অপেক্ষা শীতের
সেই বাজি বাজারগুলি হল- টালা পার্ক (কলকাতা), বেহালা ব্লাইন্ড স্কুল মাঠ (কলকাতা), বাইপাস কালিকাপুর মেট্রো ক্যাশ এন্ড ক্যারির বিপরীতের মাঠ (কলকাতা), শহীদ মিনার ময়দান (কলকাতা), ডুমুরজলা রিং রোড (হাওড়া), ঘাসবাগান (হাওড়া), মধ্য হাওড়া বাজি হাট (হাওড়া), শিলিগুড়ি (উত্তরবঙ্গ), পুরুলিয়া (দক্ষিণবঙ্গ), নবদ্বীপ (নদীয়া)। এ বছর রাজ্য ও কলকাতা পুলিস এবং দমকলের তরফে রাজ্যের ৭৪১ জন বিক্রেতাকে বাজি বাজারে বাজি বিক্রির অনুমোদন বা লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর শিবকাশি থেকে ১০০ ট্রাকে প্রায় ১০০ কুইন্টাল গ্রিন বাজি রাজ্যে প্রবেশ করেছে। বাকি শিল্প উন্নয়ন সমিতির আবেদন ছিল, কলকাতার বাজি বাজারগুলির জন্য মজুদ স্টক রাখার ক্ষেত্রে শহরের লাগোয়া এলাকায় কোনও ফাঁকা বা পরিত্যক্ত বাড়ি তাদের অস্থায়ী ভাবে ব্যাবহার করতে দেওয়া হোক। এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও বাড়ির হদিস পুলিসের পক্ষ থেকে না মেলায় আপাতত উলুবেড়িয়ায় গঙ্গার ধারে একটি ম্যাগাজিন বা স্টক গো ডাউনে ১০০ কুইন্টাল বাজি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখান থেকেই তা নির্দিষ্ট সময়ে পৌছে যাবে শহরের বাজি বাজারে।
বড়বাজার বাজি ব্যবসায়ী সমিতির স্টকে সারা বছর শিবকাশির গ্রিন বাজির স্টক থাকে। তারা বছরে ৬০ কুইন্টাল মতো বাজির স্টক রাখে এবং তা শহীদ মিনারের বাজি বাজারে বিক্রি করে। এবার সমস্ত গ্রিন বাজির বাক্সে QR CODE বাধ্যতামূলক ভাবে থাকছে। অতএব যে বাজিতে তা নেই, তা এবার বেআইনি বাজি বলেই গণ্য হবে। বাজি বাজার তো বটেই, অন্য কোথাও তা কেনাবেচা নিষিদ্ধ।
নিরি ট্রেনিং প্রাপ্ত এ রাজ্যের কিছু বাজী নির্মাতা বিভিন্ন বাজি হাবে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু গ্রিন বাজি তৈরি করেছেন। সেই বাজিগুলিও শেষ মুহূর্তে মিলতে পারে বাজি বাজারে। অন্যথায় শুধু শিবকাশির QR CODE যুক্ত গ্রিন বাজির দাম এবার পরিবহন খরচের কারণেই একটু চড়া থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন, Lakshmi Puja: লিখেছেন নজরুল থেকে সত্যজিৎ! ৭৭ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে চলেছে হাতে-লেখা শারদীয়া...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)