বাতিল স্টাফ সিলেকশন ফিরিয়ে আনতে নয়া বিল! বিরোধীদের চাপে পিছু হটলেন মমতা
ক্ষমতায় আসার পর সরকারের বেশ কিছু শূন্যপদ পূরণ করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতোই স্টাফ সিলেকশন কমিশন আইন ২০১১ আনে মমতার সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাতিলকে স্টাফ সিলেকশনকে আবার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা রাজ্য সরকারের! আজ বিধানসভায় ‘স্টাফ সিলেকশন কমিশন (রিপিলিং) (রিপিলিং) বিল ২০১৯’ পেশ করে রাজ্য সরকার। বিলের শিরোনামে দুই দু’বার ‘রিপিলিং’! স্বভাবতই প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। অভিযোগ, বিল সম্পর্কে বিরোধীদেরকে অগোচরে রেখেই পেশ করা হয় বিধানসভায়। কী রয়েছে এই বিলে?
ক্ষমতায় আসার পর সরকারের বেশ কিছু শূন্যপদ পূরণ করতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতোই স্টাফ সিলেকশন কমিশন আইন ২০১১ আনে মমতার সরকার। ওই আইনের মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ২০১৭ সালে প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে কারণ দেখিয়ে প্রত্যাহার করে এই আইন। কিন্তু এখন বেশ কিছু শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ করতে চায় সরকার। পরিকাঠামো না থাকায় এক সঙ্গে এত সংখ্যায় নিয়োগ করা অসম্ভব। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে এসএসসি-র। ফের বিল এনে বাতিল আইনকে পুনরুজ্জীবন করার চেষ্টা করে তৃণমূল সরকার।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর পাকিস্তানের কবে হল যে কাঁদুনি গাইছে... কটাক্ষ রাজনাথের
বিরোধীদের অভিযোগ, সংবিধানের ২০৭ এবং ২০৮ অনুচ্ছেদ না মেনে বিল পেশ করা হয়েছে। পাগল সরকারের সিদ্ধান্ত বলে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। নয়া বিলে ব্যয় বরাদ্দের কোনও উল্লেখ নেই। বাম ও কংগ্রেস একযোগে এই বিলের বিরোধিতা করায় পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় সরকারকে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিরোধীদের প্রতিলিপি না দিয়ে বিল পেশ করা হচ্ছিল। যদিও বিলের ত্রুটি মেনে নেয় সরকার। মঙ্গলবার ওই বিল ফের পেশ হবে বলে জানা যাচ্ছে।