Cyclone Yaas: তৈরি হচ্ছে বাংলা, আমফানের থেকেও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ইয়াস

 ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে 'ইয়াস'। আগাম সতর্কতা ও পূর্বাভাস মেনেই তৈরি হচ্ছে বাংলা।  ইতিমধ্যেই জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে জল ঢোলার খবরও সামনে আসছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, বুধবার দুপুরে পারাদ্বীপ এবং সাগরের মাঝখানে বালাসোরের কাছাকাছি স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। সেইসময় ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।

Updated By: May 25, 2021, 01:56 PM IST
Cyclone Yaas: তৈরি হচ্ছে বাংলা, আমফানের থেকেও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ইয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে 'ইয়াস'। আগাম সতর্কতা ও পূর্বাভাস মেনেই তৈরি হচ্ছে বাংলা।  ইতিমধ্যেই জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলে জল ঢোলার খবরও সামনে আসছে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, বুধবার দুপুরে পারাদ্বীপ এবং সাগরের মাঝখানে বালাসোরের কাছাকাছি স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। সেইসময় ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে।

দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। উপকূলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিশেষ দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ। সৌমেন মিত্রর নেতৃত্বে এনডিআরএফ, বিএসএনএল, সিএসসি-র আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ টিম।

আরও পড়ুন, YAAS Updates: ঝড়ের ভয়াবহ দাপটের আশঙ্কা পূর্ব মেদিনীপুরে, জারি রেড অ্যালার্ট

সোমবারই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন যে আমফানের থেকেও ভয়াবহ হতে চলেছে এই ঝড়। রাজ্যের ২০টি জেলা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
 

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলার জন্য তৈরি ৮ কলাম সেনা ও ইঞ্জিনিয়ারের টাস্ক ফোর্স। বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রস্তুত ৮টি উদ্ধারকারী দল। দ্রুত উদ্ধারে প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৯টি বিমান, ২৫টি হেলিকপ্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিভিন্ন ব্লকে রিলিফ সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

মৌসম ভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শেষ ছ'ঘণ্টায় (ভোর ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত) প্রায় ১০ কিলোমিটার বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে 'ইয়াস'। যা আগের থেকে ঢের বেশি গতি। পারাদ্বীপের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৩২০ কিলোমিটার, বালাসোরের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৪৩০ কিলোমিটার, দিঘার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৪২০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

.