Sundarban Master Plan: সুন্দরবনের জন্য দিল্লিতে মাস্টারপ্ল্যান, নদী ভাঙন নিয়ে মোদীর কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের
মমতা বলেন, সুন্দরবন নিয়ে নতুন জেলা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছেও সুন্দরবনের উন্নয়ন নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান পাঠাচ্ছি। কীভাবে নদী ভাঙ্গন রোখা যায়, কীভাবে এই অঞ্চলগুলোকে ভালো রাখা যায় তার তার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে
সুতপা সেন ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: সুন্দরবনকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি নতুন জেলা। পাশাপাশি অঞ্চলকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি মাস্টারপ্ল্য়ান। সেটি পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছে। মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে একথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সুন্দরবনের মানুষজন অত্যন্ত গরিব। নদীমাতৃক এই এলাকায় মানুষের আয় যাতে বাড়ানো যায় তার দিকে লক্ষ্য করেই এই মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনা। সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে যাদের জীবন চলে তাদের কথা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ। সুন্দরবনের কিছু অংশে যদি পর্যটনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে কিছু মানুষের তাতে উপকার হবে। ঝড় বৃষ্টিতেও মানুষের প্রচুর ক্ষতি হয়। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন- প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার দুঃস্বপ্নের পরিণতি, প্রেমিকাকে খুনের পর মাটিতে পুঁতল প্রেমিক!
হিঙ্গলগঞ্জের সভায় ওই মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে মমতা বলেন, সুন্দরবন নিয়ে নতুন জেলা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছেও সুন্দরবনের উন্নয়ন নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান পাঠাচ্ছি। কীভাবে নদী ভাঙ্গন রোখা যায়, কীভাবে এই অঞ্চলগুলোকে ভালো রাখা যায় তার তার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
এদিকে, রাজ্যে নদী ভাঙন নিয়ে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল কেন্দ্র পাঠাবে রাজ্য সরকার। এনিয়ে এটি প্রস্তাব পাসও হয়েছে বিধানসভায়। রাজ্যের প্রতিনিধি দলে থাকবেন শাসকদলের ৭ বিধায়ক ও ৫ বিরোধী বিধায়ক। সুন্দরবন, মুর্শিদাবাদ, মালদহের বিরাট অংশ ভাঙনে জর্জরিত। বহু মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। সেকথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের কাছে দরবার করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
গত ২৫ নভেম্বর বিধানসভায় এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিধানসভা থেকে একটি প্রতিনিধি দল যাক কেন্দ্রে। তাঁরা গিয়ে কেন্দ্রকে বলুন এরাজ্যে নদী ভাঙন কী অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার এনিয়ে একটি প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন বিরোধীরা। এটি একটি ব্যতিক্রমী ছবিই বলা যাতে পারে। বিজেপির তরফে বলা হয়, রাজ্যের উন্নতির জন্য যদি কেন্দ্রের কাছে কিছু বলতে হয় তাহলে তা বলা হবে। এনিয়ে কোনও রাজনীতি হবে না। ঠিক হয় মোট ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল যাবে কেন্দ্রে। সেই দলে থাকবেন শাসকদলের ৭ বিধায়ক ও বিরোধী ৫ বিধায়ক। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-সহ নদী ভাঙন নিয়ে যেসব প্রস্তাব রয়েছে তা যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদবির করবে প্রতিনিধি দল।