Mamata On Agniveer: চাকরি মাত্র ৪ বছরের, তারপর কি ললিপপ খাবে বেকাররা! অগ্নিবীর নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যদি না পান তাহলে দুয়ারে সরকারে যান। আর যদি কোনও নার্সিং হোম বলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিত্সা হবে না তাহলে সেই নার্সিংহেমের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন

Updated By: Jun 27, 2022, 05:33 PM IST
Mamata On Agniveer: চাকরি মাত্র ৪ বছরের, তারপর কি ললিপপ খাবে বেকাররা! অগ্নিবীর নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে কর্মসংস্থানের কথা বলতে গিয়ে অগ্নিবীর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সোমবার বর্ধমানের গোদার সভায় মমতা বলেন, স্কিল ট্রেনিং নিয়েও এখানে চাকরি পাওয়া যাবে। ৩০ হাজার চাকরি রয়েছে। বিজেপির মতো নয়। ওরা বলছে ৪-৬ মাস ট্রেনিং নিয়ে চাকরির মেয়াদ ৪ বছর। তারপর তুমি কোথায় যাবে, ললিপপ খাবে? ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট। তাই সেই ভোটকে সামনে রেখে উজ্জলার মতো এই চাকরি দেওয়া হচ্ছে। চার বছর চাকরি করে সারা জীবন চলবে তো? চার বছর চাকরি করার পর কোথায় যাবে বেকার ছেলে মেয়েরা? চার বছর নয়, আমাদের দাবি ওই চাকরি ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত দিতে হবে। প্রয়োজনে ৬৫ বছর পর্যন্ত করতে হবে। চার বছরে কিছু হবে না। আর যে সংখ্য়াটা বলেছে তাতে কিছু হবে না। আমাদের রাজ্যে ১১ কোটি লোক। সেখানে ১ হাজার চাকরিতে কী হবে? দূরবীণ দিয়েও দেখা যাবে না।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়েও সরব হন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যদি না পান তাহলে দুয়ারে সরকারে যান। আর যদি কোনও নার্সিং হোম বলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিত্সা হবে না তাহলে সেই নার্সিংহেমের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন। পুলিসকে বলছি অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে জানাতে হবে। ডিএম-এসপি এগুলো দেখবেন। শুনছি, অনেকে কিডনি কেস, হার্ট কেস গেলে করছেন। আর অন্য কেস গেলে বলছে এখানে এই চিকিত্সা হয় না। কারণ হার্টে বেশি টাকা। একসঙ্গে অনেক টাকা পাবেন। আমরা এগুলোর উপরে নজর রাখছি। আমি চাই গরিব মানুষের কাজে কোনও অবহেলা না হয়। 

বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমন পার্টি দেখেছেন? ভোটের আগে উজ্বালা। বিনা পয়সায় গ্যাস। ভোট শেষ হতে বিজেপি সাংসদের চেহারা দেখেছেন? আজও দেখলাম শিবসেনার এক নেতার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে ইডি। সত্যি কথা বললেই ইডি-সিবিআই। এভাবে দেশ চলে? এদের ভয়ে বহু ব্যবসায়ী দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে। মানুষ এখন ভয়ে ভয়ে থাকে। কেন্দ্র এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। তার থেকে একটা টাকা আমরা পাই। সেটা ওদের টাকা নয়। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে বিজেপি সরকার আমাদের একশো দিনের পাওনা টাকা দিচ্ছে না। বাংলার বাড়ি ও বাংলার সড়ক যোজনাতেও টাকা আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আমি এমপিদের একটি টিম পাঠিয়েছিলাম। দেখি কী হয়। কিছু না হলে আমাকেও হয়তো দিল্লি যেতে হতে পারে। যেকোনও রাজ্যে নিজের নামে বাড়ি থাকবে। বাংলার নামে বাড়ি থাকলে কীসের আপত্তি! ভোটের সময় বাংলায় এসে বড়বড় কথা বলবেন আর বাংলার নাম বললেই বিপদ!

আরও পড়ুন-Mamata In Bardhaman: 'কিসান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে গিয়ে কেউ হয়রানি করলে FIR করুন', কৃষকদের নির্দেশ মমতার

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.