Canning: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, কেমন আছে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার ১০ পঞ্চায়েত?

Panchayat Election: গোপালপুর, ইটখোলা,নিকারীঘাটা, দারিয়া হাটপুকুরিয়া এই সমস্ত পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মতপার্থক্যের জন্য খুব একটা এলাকায় উন্নয়ন হয়নি বলে এলাকার সাধারণ মানুষরা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতৃত্বেরও একই দাবি।

Updated By: Apr 24, 2023, 12:26 PM IST
Canning: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, কেমন আছে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার ১০ পঞ্চায়েত?
নিজস্ব চিত্র

প্রসেনজিৎ সর্দার: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েতগুলোর উন্নয়নে কতটা খুশি এলাকাবাসী? বা এলাকার নেতৃত্বরা কি বলছে? ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভায় মোট ১০টি পঞ্চায়েত। যার সবকটাই আছে শাসকদলের অধীনে। মাতলা-১, মাতলা -২, দিঘীরপাড়, নিকারীঘাটা, তালদি, ইটখোলা, গোপালপুর, দাঁড়িয়া, হাট পুকুরিয়া, বাশড়া। এখানে সংখ্যালঘু ভোট আছে ৩২ শতাংশ। ক্যানিং পশ্চিমের বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত রাজনৈতিক কারণে প্রায়ই থাকে খবরের শিরোনামে। গত পাঁচ বছরে তৃণমূলের হাতে তৃণমূল খুন হয়েছে বেশ কয়েকজন বলে অভিযোগ। রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত হলেও এলাকায় কতটা উন্নয়ন হয়েছে?

গোপালপুর, ইটখোলা,নিকারীঘাটা, দারিয়া হাটপুকুরিয়া এই সমস্ত পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মতপার্থক্যের জন্য খুব একটা এলাকায় উন্নয়ন হয়নি বলে এলাকার সাধারণ মানুষরা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের নেতৃত্বেরও একই দাবি। তারা জানায় এলাকায় পানীয় জলের একটা সমস্যা আছে। জল নিকাশী ব্যবস্থা, ঢালাই রাস্তাও সমস্যা। আবার ১০০ দিনের কাজ করেও  টাকা না পাওয়া, লক্ষীর ভান্ডারে টাকা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যখনই হয় ঠিকঠাক ভাবে ক্ষতিপূরণ পায়নি মানুষ। কিছু ক্ষেত্রে এই অভিযোগের কথা স্বীকারও করে নেন তৃণমূলের এক অংশের নেতৃত্বরাও।

আরও পড়ুন: Rape: ভয় দেখিয়ে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ! গ্রেফতার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক...

আবার কিছু পঞ্চায়েতের নেতৃত্বরা জানান এলাকায় কাজ হয়েছে। ১০০ ভাগ কাজ না হলেও এলাকার মানুষ খুশি। পানীয় জল, রাস্তা, আলো, সরকারি যে প্রকল্পগুলো আছে তা এলাকার বাসিন্দারা পেয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েতে মানুষ তাদের পাশে আছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: Rathayatra of Mahesh: চন্দনযাত্রার মধ্যে দিয়ে রথযাত্রার সূচনা হয়ে গেল মাহেশে...

এবার দেখা যাক এই মতপার্থক্য তৃণমূলের কেন। সেই বিষয়ে জানার চেষ্টা করলে তৃণমূলের একাংশ নেতৃত্বরা জানাচ্ছে তৃণমূল তৃণমূলের হাতে খুন হওয়ার কারণেই মূলত এই সমস্যা। এলাকায় তৃণমূলের দুটি দলের মধ্যে এলাকার দখল কার হাতে থাকবে এই নিয়েও তৃণমূলের হাতে তৃণমূলের খুন হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যান্য নেতৃত্বরা জানান তৃণমূলের মাদারের হয়ে কাজ করেন এলাকায় ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী। উল্টো দিকে এলাকার যুবর হয়ে থাকেন বিধায়ক পরেশ রাম দাস। আর কয়েক বছরে এই দুই নেতৃত্বের মধ্যে মতপার্থক্যের জন্যই পঞ্চায়েতে নেতৃত্বদের মধ্যে ভাগাভাগি রয়েছে। আর তারই আচঁ পড়েছে একাধিক পঞ্চায়েতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে।

তবে বিধায়ক পরেশ দাস ক্যামেরার সামনে না বললেও তিনি বলেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্যানিংয়ে নেই। সবাই একসাথে আছে। পঞ্চায়েত গুলি ভালো উন্নয়ন হয়েছে। আগামী দিনেও দশটি পঞ্চায়েত তাদেরই দখলে থাকবে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 

.