কন্যাশ্রীর টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে মাথা থেঁতলে-শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীর
কিন্তু বিয়ের পরেই আসল রূপ বেরিয়ে পড়ে ফজলুরের। টাকা জন্য দিনের পর দিন চাপ বাড়তেই থাকে রাফিজার ওপরে
নিজস প্রতিবেদন: বিয়ের পর থেকেই টাকার আনার বায়না দিনদিন বেড়েই যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত কন্যাশ্রীর টাকাও চেয়ে বসে স্বামী। তা দিতে অস্বীকার করায় ভয়ঙ্কর পরিণতি হল ১৮ বছরের রাফিজার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারী শরিফ এলাকার ঘটনা।
আরও পড়ুন-যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খাওয়া উচিত, ইফতারের আমন্ত্রণ পেয়ে বললেন মমতা
ভালোবেসে ঘুটিয়ারী শরিফ এলাকার শ্রীনগর জমাদার পাড়ার ফজলুর জমাদারকে ভালোবেসে বিয়ে করেন রাফিজা(১৮)। কিন্তু বিয়ের পরেই আসল রূপ বেরিয়ে পড়ে ফজলুরের। টাকা জন্য দিনের পর দিন চাপ বাড়তেই থাকে রাফিজার ওপরে।
রাফিজার পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো রাফিজাকে। এনিয়ে প্রায়ই অশান্তি হতো। মারধর করা হত রাফিজাকে। নাতনিকে বাঁচাতে টাকা দিতো রাফিজার দাদু। কিন্তু তাতেও হয়নি। রাফিজার কন্যাশ্রীর টাকা দাবি করে বসে ফজলুর। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করার প্রায়ই রাফিজাকে মারধর করা হতো। শুধু তাই নয় তাকে মেরে ফেলারাও ফন্দি আঁটে ফজলুর। এরজন একটি ফাঁকা জায়গায় ঘরভাড়া নেয় ফজলুর। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে ও শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় রাফিজাকে।
আরও পড়ুন-দেশের সংখ্যালঘুদের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে, বিজয়ী এনডিএ প্রার্থীদের আহ্বান মোদীর
স্ত্রীকে খুনের ঘটনা অন্যদিকে ঘোরাতে জীবনতলা থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করে ফজলুর। কিন্তু তার কথায় অসঙ্গতি মেলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর পুলিসের জেরায় সে খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করে।