নির্বাচনে আদৌ পুলিসি নিরপেক্ষতা থাকবে? টুইটে আশঙ্কাপ্রকাশ রাজ্যপালের
মমতা বলেন তিনি হিন্দিভাষীদের পাশে ছিলেন, পাশে রয়েছেন। কেন পুলিসের উচ্চ পদে থাকা হিন্দিভাষী অফিসারদের নাম উল্লেখ করেছেন মূলত তা নিয়েই টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন; 'বিপজ্জনক পরিস্থিতি', রাজ্যপালের টুইটে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা, সরাসরি নাম করেই। নির্বাচনে পুলিসি নিরপেক্ষতা কতটা থাকবে সেই আশঙ্কাপ্রকাশ করে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গতকাল হিন্দিভাষীদের নিয়ে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রশাসনিক পদাধিকারীর নাম উল্লেখ করেছিলেন। এ দিন মমতা বলেন তিনি হিন্দিভাষীদের পাশে ছিলেন, পাশে রয়েছেন। কেন পুলিসের উচ্চ পদে থাকা হিন্দিভাষী অফিসারদের নাম উল্লেখ করেছেন মূলত তা নিয়েই টুইটে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল লখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে আমি উদ্বিগ্ন এবং বিরক্ত। বিপদজনক পরিস্থিতি! পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের ‘রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা’র সঙ্গে আপোস করা হচ্ছে এবং পুলিসকে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা পালনে জোর দেওয়া হচ্ছে। এই অবক্ষয় সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে বাধা
Deeply concerned and disturbed at video @MamataOfficial -attention drawn by political & otherwise worried quarters.
Alarming scenario!’ POLITICAL NEUTRALITY’ @WBPolice @HomeBengal being compromised & political commitment promoted.
This aberration augurs ill for fair election. pic.twitter.com/EYZK8468AO
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 29, 2021
ভোটে পুলিসি নিরপেক্ষতা নিয়ে আশঙ্কার পাশাপাশি, একটি ভিডিও টুইট করেছেন রাজ্যপাল। ভিডিওটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার হিন্দিভাষীদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের একাংশ।
উল্লেখ্য, পুলিসি নিরপেক্ষতা নিয়ে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এবারের নির্বাচনে নিজের এলাকা বা কর্মরত থানা এলাকায় পুলিসকর্মীরা পোস্টিং পাবেন না বলেই জানানো হয়েছে। ভোটে স্বচ্ছ্বতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এতদিন এই ব্যবস্থা ভোটকর্মীদের মধ্যেই চালু ছিল। এবার সেই ব্যবস্থা কার্যকরী হবে পুলিসকর্মীদের ক্ষেত্রেও।
নির্বাচনে পুলিসি নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি, পাশাপাশি সরব হয়েছেন রাজ্য়পালও। কমিশনের তরফে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে অভিযোগের সত্যতা মিললে এবার আর বদলি নয়, সোজা সাসপেন্ড। এই ব্যবস্থায় নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব ও নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে বলেই মনে করছে কমিশন।