Malda: কাকদ্বীপ থেকে মালদহে; প্রেমিকের বাড়িতে ধর্নায় ২ সন্তানের জননী, তাজ্জব গ্রামবাসী

রণজয় সিংহ: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককের জেরে কড়া পদক্ষেপ নিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গৃহবধূ। সূদূর কাকদ্বীপ থেকে ছুটে এসে প্রেমিকের বাড়ির সামনে রীতিমত ধর্নায় বসলেন দুই সন্তানের জননী। আজব এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে মালদহের মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলাপাড়া এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ এলাকায়। চিলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা তথা প্রেমিক বানিজ আলির(৩১) বাড়ির সামনে এদিন সকাল থেকে ওই মহিলা ধর্নায় বসে রয়েছেন। ওই বিবাহিত মহিলার দাবি, স্ত্রীর মর্যাদা পেতেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসে রয়েছেন।

ওই মহিলা জানান,তার বোনের বিয়ে হয়েছে চিলা পাড়া গ্রামে। একদিন বানিজের মোবাইল থেকে তার বোন তাকে ফোন করেছিল। সেই থেকে বানিজ তাকে বার বার ফোন করে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে নেয়। বানিজের সঙ্গে তার প্রায় এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তারা এক সঙ্গে বহু সময় কাটিয়েছে। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। হোটেলেও থেকেছেন। তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। বানিজ তাঁকে বিয়ে করবে বলে কথাও দিয়েছিল। এমনকি, বিয়ে করবে বলে বুধবার তাঁকে নিজের বাড়িতে ডাকে। কিন্তু, এদিন ওই যুবকের বাড়িতে গেলে তাঁর দেখা পাননি। কলকাতায় তার সঙ্গে দুইবার সাক্ষাতও করেছেন। তামিলনাড়ুতে তারা একটানা তিন মাস স্বামী স্ত্রীর মতো সময় কাটিয়েছে। এলাকার সবাই তাদের স্বামী স্ত্রী বলেই জানত। তিন মাস ধরে ওই যুবক বিভিন্ন টালবাহানা করে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।

এতকিছুর পর বানিজ গেল কোথায়? ওই মহিলার দাবি, দুই সপ্তাহ আগে তাদের ফোনে কথাও হয়েছে। তাঁকে বিয়ে করবে বলে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিল। সেই কথামতো দেখা করতে এসে বানিজের দেখা মেলেনি। এরপরই প্রেমিককে বিয়ের দাবিতে সে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে পড়ে। ওই যুবক তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে না নিয়ে গেলে তার বাড়ির সামনেই আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।

বানিজ আলির বাবা জবেদ আলি সংবাদমাধ্য়মে বলেন, জানতে পেরেছি আমরা ছেলে ওকে ভালো বাসে। সেই জন্যই ও এসেছে। আমি বললাম, তুমি যে এলে তাহলে ছেলেকে কেন সঙ্গে নিয়ে এলে না। ছেলে যদি রাজী থাকে তাহলে তোমরা বিয়ে করবে। ছেলের সঙ্গে যোগাযাগ করতে পারিনি। ছেলে এসে ওর সঙ্গে সংসার করতে চাইলে করুক। আমরা কোনও আপত্তি নেই। মাস তিনেক ছেলের সঙ্গে কথা হয়নি।