ওয়াকিং চার্জার: এ বার হাঁটলেই চার্জ হয়ে যাবে মোবাইল ফোন!
পাওয়ার ব্যাঙ্ক বয়ে বেড়ানোর আর প্রয়োজন থাকছে না। মোবাইল ফোনের চার্জার সঙ্গে না থাকলেও আর সমস্যা নেই!
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিয়মিত হাঁটলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকে। তরতরিয়ে চার্জও হয়ে যায় মোবাইল ফোন! অবাক হচ্ছেন! এমনই অভাবনীয় ‘ওয়াকিং চার্জার’ তৈরি করেছেন দুই ভারতীয় তরুণ। ফলে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বয়ে বেড়ানোর আর প্রয়োজন থাকছে না। মোবাইল ফোনের চার্জার সঙ্গে না থাকলেও আর সমস্যা নেই। শুধু হাঁটলেই চার্জ হয়ে যাবে আপনার মোবাইল ফোন!
মনে আছে, সাইকেলের সামনে এক ধরনের আলো লাগানো হত যা চালাতে কোনও রকম ব্যাটারি বা বিদ্যুতের সাহায্য লাগত না! কারণ, সাইকেলের চাকা ঘুরলেই তার সঙ্গে জুড়ে থাকা ডায়নামো ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি হয়। এই বিদ্যুতের সাহায্যেই জ্বলে উঠত সাইকেলের আলো। এই একই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে এ বার মোবাইল ফোনের চার্জের উপায় বের করলেন দিল্লির ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র মোহক ভাল্লা এবং আনন্দ গঙ্গাধারণ। তাঁরা এমন একটি চার্জার বানিয়েছেন যা পায়ের গোড়ালির চাপে ঘুরবে এর সঙ্গে যুক্ত ডায়নামো। ডায়নামো ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে যে বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি হবে তার সাহায্যেই চার্জ হয়ে যাবে মোবাইল ফোন। মোহক আর আনন্দের দাবি, অন্যান্য চার্জারের তুলনায় এই পদ্ধতিতে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে চার্জ হয়ে যাবে মোবাইল ফোন। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন পদ্ধতিতে কাজ করবে এই বিশেষ যন্ত্র। যন্ত্রটা ঠিক গোড়ালির নীচে রাখা হয়। পায়ের গোড়ালির চাপে ঘুরবে যন্ত্রের ডায়নামো। আর তার থেকে তৈরি বিদ্যুৎ মোবাইল চার্জে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: LIVE ক্রিকেট থেকে সিনেমা বা সিরিয়াল, স্মার্টফোনে দেখুন মাত্র ১ টাকায়!
এই বিশেষ চার্জার বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ২ হাজার টাকা। পরে উত্পাদন বাড়লে এর খরচ অনেকটাই কমবে বলে আশা মোহক-আনন্দের। এই চার্জারটি আকারেও বেশ বড়। ফলে এটির আকারে পরিবর্তন এনে চার্জারটিকে আরও পরিবহনযোগ্য করে তুলতে গবেষণা চালাচ্ছেন দুই তরুণ। তাঁদের আশা, আর দু’ বছরের মধ্যেই ভারতের বাজারে চলে আসবে এই ‘ওয়াকিং চার্জার’।