নাসার চেয়ে অনেক কম খরচেই চন্দ্রযান পাঠাচ্ছে ইসরো

প্রযুক্তির পাশাপাশি বাজেটেও টেক্কা! নাসার বাজেটের ২০ ভাগের এক ভাগ খরচেই মহাকাশে চন্দ্রযান-২ পাঠাচ্ছে ভারত...

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Jul 14, 2019, 02:40 PM IST
নাসার চেয়ে অনেক কম খরচেই চন্দ্রযান পাঠাচ্ছে ইসরো

নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার তুলনায় প্রায় ২০ গুণ কম বাজেট ইসরোর। তবে টাকাপয়সাকে কখনও বাঁধা হয়ে উঠতে দেননি ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা। লড়াই চালিয়ে গেছেন মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে। মহাকাশের অনন্ত রহস্যের সন্ধানে বদ্ধপরিকর থেকেছেন বিজ্ঞানীরা।

চন্দ্রযান হোক বা মঙ্গলযান- সীমিত বাজেটেই এসেছে সাফল্য। ২০০৮ সালে চন্দ্রযানই হোক বা ২০১৪-এর মঙ্গল অভিযান, তুলনামুলক কম খরচে সাফল্য এসেছে বার বার। মঙ্গলযানের ক্ষেত্রে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০৭ কোটি টাকা। এ দিকে এই ধরনের মিশনে নাসা প্রায় ৪,৬০০ কোটি টাকা খরচ করে থাকে। মঙ্গলযানের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এস অরুণান বলেন,"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় প্রায় দশ ভাগের এক ভাগ খরচে মঙ্গলে পৌঁছে গিয়েছে ভারত।"

আরও পড়ুন: Amazon Prime Day Sale: ১৬ হাজার টাকার স্মার্টফোন মিলবে ৭ হাজারে!

চন্দ্রযান-২-এর মতো জটিল মিশনেও সেই ধারা থাকছে অব্যাহত। চন্দ্রযান-২-এর জন্য খরচ প্রায় ৯৮৩ কোটি টাকা। আপাতদৃষ্টিতে টাকার অঙ্ক বিশাল মনে হতে পারে। তবে, অন্যান্য দেশের তুলনায় এই অঙ্ক নেহাতই কম। একই ধরনের অভিযানে প্রায় দশ গুণ বেশি খরচ করে থাকে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ সংস্থা। মজার বিষয়, জনপ্রিয় হলিউড সিনেমা ইন্টারস্টেলারের থেকেও কম খরচ হচ্ছে এই অভিযানে।

কী করে এত কমে খরচে এগিয়ে চলেছে ইসরো?

ইসরোর এক বিজ্ঞানীর কথায় ভীষণই পরিকল্পিতভাবে খরচ করা হয় বরাদ্দ টাকা। কোনও অভিযানের যন্ত্রাংশ বানানো বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে বহু বার খতিয়ে দেখা হয়। এর ফলে ভুল কাজ করে অর্থ নষ্ট একদম হয় না বললেই চলে। আউটলুক-কে ওই বিজ্ঞানী জানান, নাসার জন্য বছরে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়। ভারতে ইসরোর জন্য বরাদ্দ টাকার অঙ্ক ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে অতিরিক্ত খরচ বিলাসিতা করারই সামিল ইসরোর পক্ষে। তা ছাড়া বেতন, পরিবহন ও অন্যান্য খরচও ভারতে অনেক কম।

.