পদার্থের নতুন গঠন আবিষ্কার করলেন গবেষকরা
পদার্থের অত্যন্ত ঘনীভূত গঠনে দেখা মেলে এই এক্সিটোনিয়ামের। অতপরিবাহীর আনুবিক্ষণিক পর্যবেক্ষণেই কেবলমাত্র একে দেখতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজব এক কোয়ান্টাম গঠনের জেরে তৈরি হয় এক্সিটন নামে এই কণা। পরমাণুর কক্ষ থেকে ইলেক্ট্রন বেরিয়ে যাওয়ার পর শূন্যতাই এর কারণ। বিশেষ পরিস্থিতিতে ইলেক্ট্রন পরবর্তী শক্তি স্তরে উন্নীত হওয়ায় পরমাণুর বন্ধনে তৈরি হয় এই শূন্যতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অতিপরিবাহির চরিত্র বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পদার্থের নতুন গঠন আবিষ্কার করলেন গবেষকরা। এক্সিটোনিয়াম নামে এই গঠনের উপস্থিতির কথা খাতায় কলমে ৫০ বছর আগেই বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে তার উপস্থিতির প্রমাণ পেলেন তাঁরা।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে ও ইউনিভার্সিটি অফ বার্কলের যৌথ গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে এক্সিটোনিয়ামের উপস্থিতির। ডাইচ্যালকোজেনাইড টাইটেনিয়াম ডাইসেলেনাইড নামে এক অতিপরিবাহীর (সুপারকনডাকটর) অণুর গঠন পর্যবেক্ষণ করে এই দাবি করেছেন গবেষকরা।
পদার্থের অত্যন্ত ঘনীভূত গঠনে দেখা মেলে এই এক্সিটোনিয়ামের। অতপরিবাহীর আনুবিক্ষণিক পর্যবেক্ষণেই কেবলমাত্র একে দেখতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আজব এক কোয়ান্টাম গঠনের জেরে তৈরি হয় এক্সিটন নামে এই কণা। পরমাণুর কক্ষ থেকে ইলেক্ট্রন বেরিয়ে যাওয়ার পর শূন্যতাই এর কারণ। বিশেষ পরিস্থিতিতে ইলেক্ট্রন পরবর্তী শক্তি স্তরে উন্নীত হওয়ায় পরমাণুর বন্ধনে তৈরি হয় এই শূন্যতা। অণুর গঠনে ধনাত্মক যোজ্যতার মতো আচরণ করে এই শূন্যতা। যার ফলে আবার বেরিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রনগুলিকে ফিরিয়ে আনে। ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট ইলেক্ট্রন ফিরে এসে ওই শূন্যতার সঙ্গে জুটি বেঁধে যুগ্ম কণা বোসন ও এক্সিটন।
আরও পড়ুন - টানলেই ইলাস্টিকের মতো বাড়বে এই ব্যাটারি, দাবি গবেষকদের
কী করে আধানহীন স্থান ধনাত্মক যোজ্যতার মতো কাজ করে তা দেখেই অবাক বিজ্ঞানীরা। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না মিললেও তাঁদের অনুমান, পারিপাশ্বিক ইলেক্ট্রনের আচরণের জন্যই এমন আচরণ করে ওই শূন্যতা। ১৯৬০ সালে এক্সিটোনিয়ামের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানী বার্ট হালপেরিন। কিন্তু সত্যিই এমন গঠন সম্ভব কি না তা নিয়ে ধন্দে ছিলেন গবেষকরা।