মহাকাশের অজানা রহস্যের অনুসন্ধান, পদার্থবিদ্যায় নোবেলের জন্য ঘোষিত হল তিন বিজ্ঞানীর নাম

মহাজগতের সৃষ্টিতত্বের বিষয়ক তাত্ত্বিক আবিস্কারের জন্য ২০১৯ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন কানাডিয়-মার্কিন বিজ্ঞানী জেমস পেবেলস। একই বিষয়ে নোবেল পুরস্কারের জন্য যুগ্মভাবে ঘোষিত হল সুইত্জারল্যান্ডের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়র ও দিদিয়ের কুয়েলজের নাম।

Updated By: Oct 8, 2019, 05:11 PM IST
মহাকাশের অজানা রহস্যের অনুসন্ধান, পদার্থবিদ্যায় নোবেলের জন্য ঘোষিত হল তিন বিজ্ঞানীর নাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : এ বছর পদার্থবিদ্যায়  নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করল সুইডিশ রয়্যাল অ্যাকাদেমি অফ সায়েন্সেস। মহাজগতের সৃষ্টিতত্বের বিষয়ক তাত্ত্বিক আবিস্কারের জন্য ২০১৯ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন কানাডিয়-মার্কিন বিজ্ঞানী জেমস পেবেলস। একই বিষয়ে নোবেল পুরস্কারের জন্য যুগ্মভাবে ঘোষিত হল সুইত্জারল্যান্ডের দুই জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়র ও দিদিয়ের কুয়েলজের নাম।

 

মহাবিশ্বের সৃষ্টি হল কী করে? এর পেছনে রহস্য বা বিজ্ঞান কী? সেই বিষয়েই গবেষণা কানাডিয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী জেমস পেবলসের। গত ৫০ বছর ধরে এ বিষয়ে অসংখ্য নামজাদা বিজ্ঞান পত্র-পত্রিকায় তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বিগ ব্যাঙ বিষয়ক গবেষণায় যে সকল বিজ্ঞানীর নাম ওঠে আসে তার মধ্যে তাঁর নাম অন্যতম। ১৪০০ কোটি বছর আগের একটি সুবিশাল বিস্ফোরণ থেকে কীভাবে আজকের মহাজগতের উত্পত্তি হল, সেই নিয়েই গবেষণা জেমস পেবলসের। তাঁর গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসে যে সমগ্র মহাবিশ্বের মাত্র ৫ শতাংশই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। বাকি ৯৫ শতাংশ অজানা এবং ডার্ক এনার্জি দিয়ে গঠিত। এই ডার্ক এনার্জি বা ডার্ক ম্যাটারই বিভিন্ন সৌরজগতের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিগ ব্যাং থিওরির উপর তাত্বিক গবেষণা করেছেন জেমস পেবলস।

আরও পড়ুন: কেনাকাটায় ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ ছাড়ের অবিশ্বাস্য সুযোগ নিয়ে আসছে Flipkart!

অন্যদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়র ও দিদিয়ের কুয়েলজ যুগ্মভাবে ২০১৯ সালের পদার্থবিদ্যায় নোবেলের জন্য ঘোষিত হয়েছেন। ১৯৯৫ সালে প্রথম আমাদের সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহের সন্ধান দেন এই দুই বিজ্ঞানী। দক্ষিণ ফ্রান্সের হট-প্রোভেন্স পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিশেষভাবে গঠিত যন্ত্রের সাহায্যে তাঁরা সৌরজগতের বাইরে 'ফিফটি ওয়ান পেগাসি বি' নামের একটি গ্রহের সন্ধান পান। তাঁদের এই সন্ধানের ফলে ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণার পরিধি আরও বিস্তৃত হয়। তাঁদের পদ্ধতি ব্যবহার করেই এখনও পর্যন্ত আকাশগঙ্গায় প্রায় ৪,০০০ গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মাইকেল-দিদিয়েরের অবদানের জন্যই ২০১৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলের জন্য ঘোষিত হল দুই বিজ্ঞানীর নাম। 

.