কণা 'ধরতে' বৈকালের গভীরে টেলিস্কোপ রাশিয়ার
সাধারণত নিউট্রিনো সব কিছু ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজ্ঞান আমাদের নিত্যই নানা নতুন জিনিস উপহার দেয়। সেই উপহারে সমৃদ্ধ হয়ে এগিয়ে যায় মানবসভ্যতা।
সেই এগিয়ে যাওয়ারই একটা ধাপের কাজ সারল রাশিয়া (Russia)। তারা বৈকাল হ্রদের (Lake Baikal) গভীরে বসাল একটি টেলিস্কোপ। উদ্দেশ্য, এক বিশেষ কণার (elusive subatomic particles) অস্তিত্বকে ধরা।
টেলিস্কোপটির নাম 'বৈকাল-জিভিডি' (Baikal-GVD)। টেলিস্কোপটি হ্রদের অতলান্ত জলের নীচে বসানোর কারণ ব্রহ্মাণ্ডের এক বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণার সন্ধান। কণাটি মোটামুটি পরিচিত। নাম 'নিউট্রিনো'। (detecting neutrinos) কণাটি ফোটনের মতো ভরহীন। আলোর কণার মতোই গতিবেগে। তবে ফারাকও আছে। আলোর কণার পথ বাঁকাচোরা হয়। নিউট্রিনোর তা হয় না। উৎস থেকে বেরিয়ে এরা একই পথ ধরে ছুটে চলে। তাই তাদের চলার পথ ধরে এ ব্রহ্মাণ্ডের অনেক রহস্যের সন্ধান করা যায়। সেই চেষ্টার লক্ষ্যেই রাশিয়ার এই উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: মহাকাশে প্রধানমন্ত্রীর ছবি, গীতা ও ১৯টি উপগ্রহ পাঠাল ISRO
নিউট্রিনোকে নাগালে পাওয়া কঠিন। কেননা সাধারণত নিউট্রিনো সব কিছু ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় (pass right through matter without leaving trace)। কোনও ভাবেই তাদের ধরা যায় না। তবে কিছু কিছু নিউট্রিনোর নাগাল পাওয়া যেতে পারে। তার জন্য একটু খাটতে হয়। যেতে হবে প্রাকৃতিক ভাবে প্রত্যন্ত কোনও বিন্দুতে। যেমন পুরু বরফের চাদর। গভীর জলস্তর। বৈকালের জল থেকে যদি নিউট্রিনোর টিকি ছোঁয়া যায়, তা হলে হয়তো খুলে যেতে পারে এ বিশ্বের কোনও অজানা রহস্য়ের দরজা।
প্রসঙ্গত, এমন আরও একটি টেলিস্কোপ রয়েছে অ্যান্টার্কটিকায়। তার নাম 'আইসকিউব'। এটি রেখেছে আমেরিকা (US)।
আরও পড়ুন: প্রয়াত লু ওটেন্স; গান শোনার অভ্যাস বদলে দেওয়া এই মানুষটি কে জানেন?