রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য জরুরি ‘পেশাদারী প্রশিক্ষণ’
বৃহস্পতিবার ‘এডটেক ২০১৮’ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার গুরুত্ব ও পরিকাঠামো নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার ‘এডটেক ২০১৮’ উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার গুরুত্ব ও পরিকাঠামো নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিডকোর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিস সেন-সহ আরও অনেকে। ‘এডটেক ২০১৮’-এর এ বছরের আলোচনার বিষয়বস্তু হল ‘পেশাদারী প্রশিক্ষণ’ (Skilling for Jobs)।
ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (আইএএমএআই) আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দেবাশিস সেন বলেন, “রাজ্য সরকার বাংলাকে দেশের প্রযুক্তি শিক্ষার পথ প্রদর্শক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধ পরিকর। প্রযুক্তি শিক্ষার মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ফিনটেক, ব্লকচেইন-এর মতো একাধিক বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” এর সঙ্গেই তিনি জানান, রাজ্য সরকার এ কথা বিশ্বাস করে, আধুনিক প্রযুক্তির উপর গুরুত্ব দিলে তা রাজ্যের কর্মসংস্থান ও আর্থিক বিকাশের সুযোগ বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। তিনি মনে করেন, একের পর এক প্রযুক্তি শিক্ষার কর্মশালা অয়োজন এবং এই আয়োজনের জন্য নিখুঁত কৌশল পরিকল্পনার মাধ্যমে রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ভবিষ্যতকে মজবুত করা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রযুক্তি শিক্ষার বিষয়কে স্কুল পাঠ্যে বাধ্যতামূলক অন্তর্ভূক্তিকরণের উপরে জোর দেন দেবাশিস সেন। এ প্রসঙ্গে চিনে প্রথমিক স্তরের স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশুদের ‘রোবোটিক্স’ শেখানোর উদাহরণ টেনে আনেন দেবাশিসবাবু।
এই অনুষ্ঠানে রাজ্যে তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ভবিষ্যতকে সুদৃঢ় করতে সুকৌশলে পরিকাঠামো পরিকল্পনা ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে জোর দেন তিনি।