ডিভোর্স হতে কতদিন?
আমি থার্ড ইয়ারে পড়ি। আমার পড়তে ইচ্ছে করে না। পাশ করে কী হবে? আমি চাকরি করতে চাই না। ওই যে নতুন হ্যান্ডু ছেলেটা কহো না প্যায়ার হ্যায় বলে একটা সিনেমা করছে, আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে চাই। রাতে বিছানায়...উঃ ভাবতে পারছি না, গা শিরশির করছে। মাথা বোঁ-বোঁ করছে। বাবা-মা যদি রাজি না হয়, আমি পালিয়ে যাব মুম্বই।
ফুলকলি
আমি থার্ড ইয়ারে পড়ি। আমার পড়তে ইচ্ছে করে না। পাশ করে কী হবে? আমি চাকরি করতে চাই না। ওই যে নতুন হ্যান্ডু ছেলেটা কহো না প্যায়ার হ্যায় বলে একটা সিনেমা করছে, আমি তাকে বিয়ে করতে চাই। ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে চাই। রাতে বিছানায়...উঃ ভাবতে পারছি না, গা শিরশির করছে। মাথা বোঁ-বোঁ করছে। বাবা-মা যদি রাজি না হয়, আমি পালিয়ে যাব মুম্বই। অস্থিবিনায়কমন্দিরে বিয়ে করব আমি আর হৃতিক রোশন। ব্যাঙ্ক থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছি। আলমারি থেকে সব গয়না চুরি করে নিয়েছি। সব ভাল ভাল জিন্স-চুড়িদার-নাইট ড্রেস নিয়ে নিয়েছি (পচাগুলো থাক)। আজ রাতেই আমি পালিয়ে যাব মুম্বই। ওর ঠিকানা জেনে গেছি। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। আমি জন্মজন্মান্তর ওর হয়ে থাকব। ও যেন আমায় বিয়ে করে। তারপর ও সিনেমা করলে আমার আপত্তি নেই। আমি জানি, বিয়ের পর হৃতিক আর কাউকে চুমু খাবেই না..
এমনি করে সাত বছর কাটল। আমি পাশ করেছি। বিয়ে করিনি। আমি চাকরি করি। হৃতিক বিয়ে করে নিল। তাতে কী? ডিভোর্স হতে ক`দিন? আমি জানি ও আমার। একদিন ফোনে পেয়ে গেলাম। যোধা আকবরের ভোর ছটায়। ও তখন সিঙ্গাপুরে। বলল, হ্যালো। বললাম, ইন্টারভিউ চাই, লিখব। জীবনের প্রথম কথা হল। পাক্কা বাইশ মিনিট। বললাম, নম্বর সেভ করে নিও। ও বলল Sure! ওঃ ভগবান, ওর মোবাইলে আমার নম্বর উঠিয়ে দিয়েছি। এ বার ওর ডিভোর্স হয়ে যাবে..
এমনি করে সাত মাস কেটে গেল। হৃতিকের ডিভোর্স হল না। হৃতিকের আরেকটা দুট্টুমিট্টি ছেলে হল। বুকে পাথর চেপে রেখে এসএমএস করলাম, অভিনন্দন। ও লিখল, Thanks a lot! Love you. বুঝলাম, ও আমার প্রেমে পড়েছে! সবে শুরু!
এমনি করে আরও দু বছর কেটে গেল। আমি বিয়ে করেছি। তাতে কী? ডিভোর্স হতে কতদিন? তার পর তো আমি হৃতিককে বিয়ে করব। আমি জানি ও আমার। প্রতি জন্মদিনে ওকে মেসেজ করি। আমার জন্যে ওর ভালবাসা বেড়ে গেছে। ও এসএমএস করে, Thanks. lots of love!
আমি অ্যাস্ট্রোলজি কনসাল্ট করেছি। ঠিক কুড়ি বছর বাদে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে আমাদের বিয়ে হবে। ততদিনে ওরও ডিভোর্স হয়ে যাবে। আমারও। কী মজা! আরে বাবা, পেশেন্স পেশেন্স। ধৈর্য ধরলে জীবনের শ্রেষ্ঠ মানুষটাকে পাওয়া যায়। তোমরা হাল ছেড়ে দিতে পারো। আমি ছাড়িনি।