নয়া পেনশন নীতির প্রতিবাদে ধর্মঘটে ব্রিটেনের সরকারি কর্মীরা

ব্রিটিশ সরকারের নয়া পেনশন নীতির প্রতিবাদে ধর্মঘটের পথে যাচ্ছে সে দেশের শ্রমিক-কর্মচারি সংগঠনগুলি। ব্রিটিশ মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর, দেশজুড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির ২০ লক্ষেরও বেশি কর্মী অংশগ্রহণ করবেন আন্দোলনে। ব্রিটেনের তিন দশকের ইতিহাসে এমন ধর্মঘট নজিরবিহীন। বুধবার শুরু হচ্ছে এই ধর্মঘট।

Updated By: Nov 30, 2011, 11:35 AM IST

ব্রিটিশ সরকারের নয়া পেনশন নীতির প্রতিবাদে ধর্মঘটের পথে যাচ্ছে সে দেশের শ্রমিক-কর্মচারি সংগঠনগুলি। ব্রিটিশ মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর, দেশজুড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলির ২০ লক্ষেরও বেশি কর্মী অংশগ্রহণ করবেন আন্দোলনে। ব্রিটেনের তিন দশকের ইতিহাসে এমন ধর্মঘট নজিরবিহীন। বুধবার শুরু হচ্ছে এই ধর্মঘট।
প্রবল আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা করতে বুধবার থেকে বৈঠকে বসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রতিনিধিরা। এই পরিস্থিতিতে টেমস নদীর তীরে কর্মচারি বিক্ষোভের অভিঘাতে সমস্যা জর্জরিত ব্রিটিশ অর্থনীতি আরও ৫০ কোটি ইউরোর ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে পূর্বাভাস বিশেষজ্ঞ মহলের।
দেশের বেহাল অর্থনীতির হাল ফেরাতে পেনশন ক্ষেত্রে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এ ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি ছাঁটাই করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। শ্রমিক-কর্মচারি সংগঠনগুলির অভিযোগ, এই নীতি কার্যকর হলে অবসরকালীন সময়ে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়বেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্ষেত্রের কর্মীরা।
কারণ, প্রস্তাবিত পেনশন সংস্কার বিলে কর্মজীবীদের তাদের পেনশনের প্রকল্পের জন্য বাড়তি অর্থ জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হবে এবং অবসরের সময়সীমাও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে সঙ্কুচিত হবে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা।
অন্য দিকে সরকারের যুক্তি, নাগরিকরা আগের চেয়ে দীর্ঘায়ু হয়েছে তাই তাদের কর্মজীবনের সীমা বাড়ানো দরকার আর পেনশন দেওয়ার মতো যথেষ্ট তহবিল নেই বলেই এ খাতে বাড়তি অর্থ নেওয়া দরকার।
ধর্মঘটের কারণে ব্রিটেন জুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা, করসংগ্রহ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। সীমান্তরক্ষীরাও ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার ফলে দেশের বিমানবন্দর ও বন্দরগুলোতেও কাজ ব্যাহত হওয়ার সংম্ভাবনা রয়েছে।
বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সোমবার ইউরোপের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দর হিথরোর বিভিন্ন বিমান সংস্থা তাদের বেশ কিছু বিমানসূচী বাতিল করেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্যামেরন সরকার ব্রিটেনের বিভিন্ন দূতাবাস থেকে বহু কর্মীকে ফিরিয়ে এনেছে ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির মাধ্যমে আপত্‍কালীন সরকারি কাজ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

.