আটলান্টিকের অতলে ডুবে ৭২ ঘণ্টার লড়াইয়ে মৃত্যুকে হারিয়ে হ্যারি এখন জেদের প্রতীক
রাখে হরি তো মারে কে। এ প্রবাদ হয়তো জানেন না নাইজেরিয়ান যুবক হ্যারিসন ওদজেগবা ওকেনো। কিন্তু এই প্রবাদটিই এখন তাঁর জীবনে ষোলো আনা সত্যি। আটলান্টিক মহাসাগরের ১০০ ফুট গভীরে তিন দিন কাটিয়েও অবিশ্বাস্য ভাবে বেঁচে ফিরেছেন তিনি। আর ইউ টিউবে সেই ভিডিও আসতেই ওকেনোকে নিয়ে হৈচৈ সারা বিশ্বে।
রাখে হরি তো মারে কে। এ প্রবাদ হয়তো জানেন না নাইজেরিয়ান যুবক হ্যারিসন ওদজেগবা ওকেনো। কিন্তু এই প্রবাদটিই এখন তাঁর জীবনে ষোলো আনা সত্যি। আটলান্টিক মহাসাগরের ১০০ ফুট গভীরে তিন দিন কাটিয়েও অবিশ্বাস্য ভাবে বেঁচে ফিরেছেন তিনি। আর ইউ টিউবে সেই ভিডিও আসতেই ওকেনোকে নিয়ে হৈচৈ সারা বিশ্বে।
পেশায় রাঁধুনি। কাজ করতেন জাহাজে। কিন্তু মে মাসে হঠাত্ই অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় জাহাজটি। মারা যান জাহাযের সকলেই। সেই সময় জাহাজের শৌচাগারে ছিলেন নাইজিরিয়ার বাসিন্দা হ্যারিসন ওদজেগবা ওকেনো। সৌভাগ্যবশত, পুরো জাহাজটি জলের তলায় চলে গেলেও জল ঢোকেনি শৌচাগারে। ফলে সেখানেই তৈরি হয় এয়ার পকেট। সেই এয়ার পকেটে থাকা অক্সিজেনের সাহায্যেই টানা তিন দিন অ্যাটলান্টিকের গভীরে কাটিয়ে দেন ওকেনো।
তিন দিন পর উদ্ধারে নামেন ডুবুরিরা। মৃতদেহ ভেবেই ওকেনোর হাত ধরে তাঁকে তুলতে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্য টনি ওয়াকার। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে দেখা যায় বেঁচে রয়েছে ওকেনো। মে মাসের এই ঘটনার ছ মাস পর ইউটিউবে আপলোড কারা হয়েছে উদ্ধারের ছবি। এরপরই রীতিমতো শিরোনামে ওকেনো।
মঙ্গলবার এক সাক্ষাত্কারে টনি ওয়াকার বলেন, অ্যাটলান্টিকের মতো গভীর মহাসাগরের এত ঠাণ্ডায় ওকেনো যে বেঁচে ছিলেন এটাই অবিশ্বাস্য। তাপমাত্রা যেখানে হিমাঙ্কের বহু নীচে সেখানে এই তিন দিন শুধু মাত্র একটি হাফ প্যান্ট পড়ে কাটিয়ে দিয়েছেন ওকেনো। পড়ছেন তাঁর স্ত্রীর পাঠানো শেষ টেক্সট মেসেজ: ঈশ্বর সবাইকেই রক্ষা করবেন। উদ্ধারকারীদের মতে আরও কিছু দিন পরে পৌছলে হয়তো আর বাঁচানোই যেত না ওকেনোকে। কারণ ইতিমধ্যেই অক্সিজেন শেষ হয়ে আসছিল এয়ার পকেটে। ওকেনোর কথায় চারিদিকে শুধুই অন্ধকার ছিল। যখন হাঙর ও অন্যান্য মাছের আওয়াজ শুনতেন, ভয়ে গা শিউরে উঠত তাঁর। নতুন করে জীবন ফিরে পাওয়া ওকেনো বলছেন ভগবান সত্যিই হয়তো তাঁর জীবনে মিরাকেল ঘটালেন।