London: অ্যাঞ্জেলিনাও তাঁর লালসার শিকার? চিকিৎসার নামে কম করে ১১৫ মহিলার যৌন হেনস্থা ঘটিয়েছেন এই ভারতীয়...
Manish Shah: বছর তিপ্পান্নের ভারতীয় চিকিৎসক, পূর্ব লন্ডনে কর্মরত। চিকিৎসার নামে লন্ডনে কম করে ১১৫ মহিলার যৌন হেনস্থা ঘটিয়েছেন এই ভারতীয় ডাক্তার। তাঁর রোগিণীর তালিকায় রয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো হাইভোল্টেজ সেলেব্রিটি!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মনীশ শাহ। বছর তিপ্পান্নের ভারতীয় চিকিৎসক, পূর্ব লন্ডনে কর্মরত। চিকিৎসার নামে লন্ডনে কম করে ১১৫ মহিলার যৌন হেনস্থা ঘটিয়েছেন এই ভারতীয় ডাক্তার। তাঁর রোগিণীর তালিকায় রয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো হাইভোল্টেজ সেলেব্রিটি, রয়েছেন রিয়্যালিটি টিভি স্টার জেড গুডির মতো ব্যক্তিত্ব। এইসব রোগিণীদের অন্তরঙ্গ শারীরপরীক্ষাও তিনি করছেন তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপস্থিতি ব্যতিরেকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল অভিযোগ ছিল। সেই সবের ভিত্তিতে বিচারও হয়েছে। বিচারে দোষী সাব্য়স্ত হয়েছেন মনীশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত তিনি। ওল্ড বেইলি কোর্টে তাঁর এই শাস্তি বিধান হয়েছে।
আরও পড়ুন: Taliban: আফগানিস্তানে মেয়েরা কি ফিরছে স্কুলে? জেনে নিন তালিবানের নতুন শিক্ষানীতি...
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির চিকিৎসক হতে পারার গৌরবটা কেরিয়ারে বারা বার বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করেছেন মনীশ। ব্যবহার করেছেন অন্য রোগীদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রও। মনীশ শাহ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে ১৯৯৩ সালে এমবিবিএস পাস করেন। মনীশ তাঁর পেশাজীবনে প্রায়ই বিজ্ঞাপন করে বলতেন, জোলি তাঁর পেশেন্ট! তাঁর মানে, আমার কাছে চিকিৎসা করাতে আসুন, সংকোচের কোনও কারণ নেই! আসলে, যে কোনও ব্রেস্ট ক্যানসারের পেশেন্টকেই তো ডাক্তারকে দিয়ে নিজের স্তন পরীক্ষা করাতেই হবে। তবে এখনও, খুব সংগত কারণেই, মহিলাদের একটা বড় অংশের কাছে বিষয়টা খুব অস্বস্তির, সংকোচেরও। এবং এ বিষয়ে তাঁরা চট করে যার-তার উপর নির্ভর করতে পারেন না। গোপনীয়তা ও শালীনতার বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত না করে তাঁরা সাধারণত সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের কাছে যান না। মনীশ কাজ করতেন পূর্ব লন্ডনের রমফর্ডের 'ম্যনে রোড মেডিক্যাল প্র্যাকটিসে'।
ওল্ড বেইলি কোর্টে বিচারক রুক সোমবার তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, শাহ নিজের যৌনতৃপ্তির পন্থা হিসেবেই এই সব রোগিণীর চিকিৎসা করেছেন। জানা গিয়েছে, শাহ কথাবার্তার মাধ্যমে তাঁর রোগিণীদের এমন ভাবে প্রভাবিত করতেন যাতে তাঁরা শাহর কাছে নিজেদের পরীক্ষা করাতে নির্দ্বিধায় এগিয়ে আসেন আর তখনই শাহ তাঁদের 'ইনঅ্যাপ্রোপ্রিয়েটলি' ছুঁয়ে দেওয়ার সুযোগ পান আর তা কাজে লাগান।
শাহের বিরুদ্ধে অন্ততপক্ষে ১১৫জন রোগিণীর অভিযোগ রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে এসে তাঁর হাতে শ্লীলতাহানি ঘটেছে এমন রোগীর মধ্যে সব চেয়ে কম বয়সী যে, তার বয়স জানা গিয়েছে মাত্র ১৫! শাহের বিরুদ্ধে এক তরুণীর অভিযোগ পড়া হয় কোর্টে। তাতে ওই মহিলা লিখেছেন, মনীশের কাছে পরীক্ষা করানোর বিষয়টি তাঁর শরীর ও মনের উপর বিপুল চাপ ফেলেছিল, কিশোরী-তরুণী থেকে পুরোপুরি উওম্যানহুডে উপনীত হওয়ার পথে তাঁর মনের উপর প্রচুর চাপ পড়েছে শাহের কাজকর্মে।