Middle East Project: এবার দিল্লি থেকে টানা রেলপথে মধ্যপ্রাচ্য? এশিয়ার 'লার্জেস্ট রেল নেটওয়ার্ক'...
Middle East Project: মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলেছে চিনের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড' মিশন। এই অঞ্চলে চিনের শক্তিও উত্তরোত্তর বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খানিক শঙ্কিতই। তারা মনে করছে, যৌথ উদ্যোগে চিনের মোকাবিলা করতে হবে। সেটাই সেরা রাস্তা। ভারতকে সঙ্গে নিয়ে এবার সেই রাস্তায় হাঁটার লক্ষণই স্পষ্ট হচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত হবে ভারত? অন্তত তেমনই খবর। জানা গিয়েছে, রেলপথ এবং জলপথে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত হবে ভারত। সম্প্রতি এরকমই এক পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান। চলতি মাসের শুরুতেই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে সৌদি প্রধানমন্ত্রী তথা শাহজাদা মহম্মদ বিন সলমন, সংযুক্ত আরব আমিরাশাহির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন বলে শোনা গিয়েছে। তিন এশীয় দেশ একসঙ্গে একটি বৃহত্তর রেলওয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মোকাবিলা করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Germany's Recession: আসছে বড় আকারের মন্দা! বিশ্ব জুড়ে কর্মীছাঁটাইয়ের আশঙ্কা...
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ওই বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভারত এবং বাকি বিশ্বের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আরও নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ যোগাযোগ কাম্য। এই বিশাল পরিকাঠামো প্রকল্পটি আরব দেশগুলিকে রেলরুটের মাধ্যমে জুড়বে। শুধু রেলপথ নয়, জলপথেও যোগাযোগ তৈরি হবে। এই সব অঞ্চলের বন্দর থেকে জলপথে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হবে।
গত ১৮ মাস ধরে আই২ইউ২ গোষ্ঠীর আলোচনা থেকেই নতুন এই উদ্যোগের ধারণার জন্ম। আই২ইউ২ ফোরামে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল, সংযুক্ত আরব, আমিরশাহি এবং ভারত। ২০২১ সালের শেষের দিকে এই আন্তর্জাতিক ফোরাম তৈরি হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Booker Prize 2023: বুকারের মঞ্চে পুরস্কৃত হল স্মৃতিহারানোর অপার বিষাদ...
মধ্যপ্রাচ্যে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলেছে চিনের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড' মিশন। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান পর্যন্ত বহুদেশীয় এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে চিন। ফলে এই অঞ্চলে চিনের শক্তি উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খানিক শঙ্কিতই। তারা মনে করছে, একমাত্র যৌথ উদ্যোগই এখানে চিনের মোকাবিলা করার সেরা রাস্তা। ভারতকে সঙ্গে নিয়ে সেই রাস্তায় হাঁটার লক্ষণই এবার স্পষ্ট হচ্ছে।