Salman Rushdie, JK Rowling: 'এরপর তুমি', এবার 'হ্যারি পটার'-এর লেখিকা রাওলিংকে প্রাণনাশের হুমকি
Salman Rushdie: একটি অনুষ্ঠানে আততায়ীর আক্রমণের মুখে পড়েন রুশদি। নিউইয়র্কে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শৌতকুয়া ইনস্টিটিউটের মঞ্চে সলমন রুশদির ভাষণ শুরুর আগের মুহূর্তে তাঁর উপর হামলা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার দর্শক-শ্রোতা। হামলার সময়ে অনেকেই ঠিক কী ঘটছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারছিলেন না। রুশদি মেঝেতে গড়িয়ে পড়ার পর দর্শকদের টনক নড়ে। কেউ কেউ লেখকের কাছে ছুটেও যান। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে, তাঁরা মঞ্চে একজনকে উঠতে দেখেন এবং পলকের মধ্যে ওই দুর্ঘটনা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লেখক সলমন রুশদির (Salman Rushdie) উপর হামলার নিন্দা করে প্রাণনাশের হুমকি পেলেন লেখিকা জেকে রাওলিং (JK Rowling)। টুইটারে প্রাণনাশের হুমকির স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন লেখিকা। সলমন রুশদির (Salman Rushdie) উপর হামলার নিন্দা করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হ্যারি পটারের লেখিকা। আশা প্রকাশ করেছিলেন রুশদি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। এরপর তিনিও প্রাণনাশের হুমকি পান বলে অভিযোগ। তাঁকে মেসেজে লেখা হয়, 'চিন্তা করবেন না, এরপর তুমি'। যে টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন রাউলিং, ওই অ্য়াকাউন্টটি থেকে রুশদির হামলাকারীর প্রশাংসা করা হয়েছে।
একটি অনুষ্ঠানে আততায়ীর আক্রমণের মুখে পড়েন রুশদি। নিউইয়র্কে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শৌতকুয়া ইনস্টিটিউটের মঞ্চে সলমন রুশদির ভাষণ শুরুর আগের মুহূর্তে তাঁর উপর হামলা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার দর্শক-শ্রোতা। হামলার সময়ে অনেকেই ঠিক কী ঘটছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারছিলেন না। রুশদি মেঝেতে গড়িয়ে পড়ার পর দর্শকদের টনক নড়ে। কেউ কেউ লেখকের কাছে ছুটেও যান। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে, তাঁরা মঞ্চে একজনকে উঠতে দেখেন এবং পলকের মধ্যে ওই দুর্ঘটনা। এক মার্কিন সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সলমন রুশদিকে ১০ থেকে ১৫ বার আঘাত করা হয়েছিল!
নিউ ইয়র্কের পুলিস সূত্রে খবর, গ্রেফতার করা হয়েছে হামলাকারী হাদি মাতারকে। দ্য স্যাটানিক ভার্সেস-এর লেখককে নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। পুলিসের ধারণা, হাদি মাতার একাই হামলা চালিয়েছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনও বিভিন্ন বিষয়ে তল্লাশি চালানোর অনুমতির অপেক্ষায়। ঘটনাস্থলে একটি ব্যাকপ্যাক শনাক্ত হয়েছে। সেখানে ইলেকট্রনিক ডিভাইসও ছিল। হাদি মাতার নিউ জার্সির ফেয়ারভিউ এলাকার বাসিন্দা। অতীতে অপরাধের কোনো রেকর্ড আছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে 'মিডনাইটস চিলড্রেন' নামক বইয়ের জন্য বুকার জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে বসবাসকালে বেশির ভাগ সময় তাঁকে সরকারের সুরক্ষা নিয়ে থাকতে হয়েছে। 'স্যাটানিক ভার্সেস' উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুসলিমরা। এটি প্রকাশের পর থেকেই রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন।