Bangladesh: ডিমের দাম আগুন! সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালি এরপর খাবে কী?
সাধ্যের মধ্যে দাম, প্রোটিন মজুত, স্বাদেও মুখরোচক। কিন্তু সেই ডিমটুকুতেও এবার কোপ পড়ল। ফলে বাঙালির এবার মাথায় হাত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মটনের দাম আকাশছোঁয়া। মাছও ধরাছোঁয়ার বাইরে। চিকেনটাই-যা একটু হেঁশেলে প্রোটিনের জোগান স্বাভাবিক রেখেছে। এর মধ্যে বাঙালির একমাত্র অবলম্বন ছিল ডিমটুকুই। কেননা সাধ্যের মধ্যে দাম, প্রোটিন মজুত, স্বাদেও মুখরোচক। কিন্তু সেই ডিমটুকুতেও এবার কোপ পড়ল। ফলে বাঙালির এবার মাথায় হাত। তবে এই হাহাকার ঠিক পশ্চিমবঙ্গে নয়, এটা বাংলাদেশের ছবি। অর্থনৈতিক সংকটের আশঙ্কার মধ্যেই বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম লাগামছাড়া। এই অবস্থায় সাধারণ মধ্যবিত্তের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ডিমের দামে রেকর্ড বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ঢাকায় ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। একটি ডিমের দাম প্রায় সাড়ে ১২ টাকা! এক ডজন ডিম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিকোচ্ছে!
বাংলাদেশে এর আগে ডিমের এত দাম সেখানকার বাসিন্দারা মনে করতে পারছেন না। শুধু ক্রেতারা নয়, বিক্রেতারাও অবাক। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০০৯-২০১০ সালে বার্ড ফ্লুর কারণে বিভিন্ন খামার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় জোগানের অভাব হয়, পরে অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বেড়েছিল। বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের তথ্য বলছে, ২০০৮-০৯ এবং ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে ৪টি ডিমের দাম ছিল ২৭ টাকা। এমনকি আগের বছর জুলাই মাসে ১টি ডিম ১০ টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। সাদা ডিমের দাম মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাঁসের ডিম প্রত্যেকটি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: International Lefthanders Day: বাঁ হাত দিয়েই এঁরা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন সভ্যতার ইতিহাসের চাকা
কেন ডিমের এই অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধি?
পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধির ফলেই ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে ভুট্টা আমদানি কমেছে, সেই কারণেই মুরগির খাবারে টান দেখা দিয়েছে।
কিন্তু ডিমের পুষ্টি ব্যতিরেকে কী করবে মধ্যবিত্ত?
পুষ্টিবিদরা মনে করছেন ডিম মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রাণিজ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে। কম দামে ডিম পাওয়া যায়। তাই ডিমের উপর মানুষের নির্ভরতা বেশি। কিন্তু ডিমের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত মানুষদের সমস্যা বাড়বে।
অগত্যা, ডিমের দাম কমার দিকে হা-পিত্যেশ করে চেয়ে বসে থাকা আর গত্যন্তর নেই দরিদ্র সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালির।