বাংলাদেশে আর এক রাজাকারের ফাঁসির আদেশ
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় আরও একজনের ফাঁসির নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। একষট্টি বছরের জামায়েত-ই-ইসলামী নেতা মহম্মদ কামরুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড হল। তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। যার মধ্যে পাঁচটি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইবুন্যালের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে কামরুজ্জামান আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলায় আরও একজনের ফাঁসির নির্দেশ দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। একষট্টি বছরের জামায়েত-ই-ইসলামী নেতা মহম্মদ কামরুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড হল। তাঁর বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। যার মধ্যে পাঁচটি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইবুন্যালের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে কামরুজ্জামান আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্যে দিয়ে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয় বাংলাদেশে। ওই বছরের একুশে জুলাই জামায়েত ইসলামীর সহকারি সচিব কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগে ২৯ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দু`হাজার বারোর চৌঠা জুন অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় কামরুজ্জামানের বিচার। সেসময় তদন্তকারী আধিকারিকসহ আসামীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন আঠেরোজন। আসামীপক্ষে সাক্ষ্য দেন পাঁচজন। আদালতে দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হয় এবছরের ষোলোই এপ্রিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। রায় শোনার জন্য সকাল থেকেই আদালত চত্বরে ভিড় করেন বহু মানুষ। রায়ের পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। মৃত্যুদণ্ডের রায়ে খুশি শাহবাগের আন্দোলনকারীরাও।
যদিও এই রায়কে ভুল বিচার বলে মন্তব্য করেন অভিযুক্ত জামায়েত ইসলামীর নেতা কামরুজ্জামান। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে অ্যাপিল করার কথা জানান তাঁর আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পর সর্বোচ্চ আদালতের রায় পেলেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। কামরুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের পর গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টার অভিযোগে নারায়নপুর থেকে বেশ কয়েকজন জামায়েত সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিস।