দুটো হাত নেই, তবু মুখ দিয়ে পাতা উল্টে শিক্ষকতা করে প্রেরণা জোগাচ্ছেন জিয়াং
হাত নেই। পাতা উল্টোতে হয় মুখ দিয়ে। ক্লাসরুমের বোর্ডে লিখতে হলে কাটা হাতের একটি অংশের সঙ্গে চক বাঁধতে হয় চক। তবুও দমে যাননি। ইনি ইউনানের 'আর্মলেস টিচার' জিয়াং শেংফা। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের ইউনান প্রদেশের এক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন আর্মলেস টিচার ৪১ বছর বয়সী জিয়াং।
ওয়েব ডেস্ক: হাত নেই। পাতা উল্টোতে হয় মুখ দিয়ে। ক্লাসরুমের বোর্ডে লিখতে হলে কাটা হাতের একটি অংশের সঙ্গে চক বাঁধতে হয় চক। তবুও দমে যাননি। ইনি ইউনানের 'আর্মলেস টিচার' জিয়াং শেংফা। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের ইউনান প্রদেশের এক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন আর্মলেস টিচার ৪১ বছর বয়সী জিয়াং।
১৯৯৬ সালে ইলেকট্রিকাল অ্যাকসিডেন্টে দুটি হাতই হারাতে হয়েছিল জিয়াংকে। কিন্তু শিক্ষকতার আদর্শ ও দায়বদ্ধতা থেকে সরে আসেননি তিনি। নিজের ডান হেতা চক বেঁধে বোর্ডে লেখেন, পাতা উল্টান মুখ দিয়েই। চক বাঁধা হাতের লেখায় যেন বোর্ডে মুক্ত ঝড়ে। লেখা ভাল করার জন্য অক্লান্ত ভাবে ক্যালিগ্রাফির চর্চা করেছেন জিয়াং।
২০১৩ সালে হেনান প্রদেশে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার জন্য প্রস্তাব পেয়েও তা অস্বীকার করেন জিয়াং। তিনি বলেন," আমি জানি আমি কোথা থেকে শুরু করেছিলাম। আমি সব থেকে বেশি খুশি থাকি, যখন স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাই"।