দেশে ফিরলেন জারদারি, আস্থা ভোট এড়ালেন গিলানি
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে শেষমেশ সেনার বিষয়ে সুর নরম করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি।
দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে শেষমেশ সেনার বিষয়ে সুর নরম করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। চেষ্টা করলেন সরকার ও সেনা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত ও তলানিতে ঠেকে যাওয়া সম্পর্কের বরফ গলানোর। অন্যদিকে দেশত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে একদিনের দুবাই সফরের পর শুক্রবার সকালেই ইসলামাবাদে ফিরে এলেন পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি । পাকিস্তানের জাতীয় আইনসভায় এদিন গিলানি জানান, তাঁর সরকার সেনার বিরোধী নয়। পাকিস্তানের জনগণ তাঁকে নির্বাচন করেছে। তাই আস্থা ভোটের কোনও প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করে গিলানি বলেন, `দেশে গণতান্ত্রিক শাসন চাই, না একনায়কতন্ত্র চাই, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে পার্লামেন্ট।`
মেমোগেট কেলঙ্কারির পর ক্রমশই পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আল জারদারির কার্যকলাপ নিয়ে অসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছিল সেনা বাহিনীতে। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিতে পারেন বলে ক্রমশ এই জল্পনা দানা বাঁধছিল পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে। জারদারির বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গিলানির বক্তব্য, রাজনীতিবিদরা ভুল করতেই পারেন। তার জন্য গণতন্ত্রে আঘাত হানা উচিত নয়।
মিডিয়ার সামনে সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ আশফাক কায়ানি এবং আইএসআই প্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুজা পাশার বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক আচরণের অভিযোগ মিডিয়ার সামনে সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ আশফাক কায়ানি এবং আইএসআই প্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুজা পাশার বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক আচরণের অভিযোগ করায় বুধবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দেয় পাক ফৌজ।
যদিও সেই হুমকি গায়ে না মেখে সেনাপ্রধান কায়ানির ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সচিব, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নঈম খালিদ লোদিকে বেআইনি কার্যকলাপ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টার অভিযোগে বরখাস্ত করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনার পর ফের প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দেয় সেনাবাহিনী। জানিয়ে দেওয়া হয়, এর ঘটনার পরিণতি ভাল হবে না। সেই সঙ্গে নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষা সচিব নার্গিস শেঠির সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা না করার কথাও জানানো হয় রওয়ালপিন্ডি-স্থিত সেনা সদর দফতরের তরফে।
বৃহস্পতিবার রওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে পাক সেনাবাহিনীর সমস্ত কোর কম্যান্ডারদের জরুরি বৈঠকও করেন জেনারেল কায়ানি। মার্কিন চাপে এখনই সেনা অভ্যুত্থানের পথে হাঁটছে না জেনারেল কায়ানি। আপাতত তাঁর কৌশল, বিচার বিভাগের মাধ্যমে সরকারকে চাপে রাখা।