World Environment Day: জলবায়ু পরিবর্তন দক্ষিণ এশিয়ায় ডেকে আনছে মহা বিপদ! কোন পথে পরিত্রাণ?
গত মে মাস ছিল ভারতে সবচেয়ে উষ্ণ মাস; নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবেশ প্রকৃতি ক্রমশই বিনষ্ট হয়ে পড়ছে। বিশ্ব জুড়ে নানা কারণে তা বিপন্ন হয়ে পড়ছে। তবে পরিবেশবিজ্ঞানীরা আলাদা করে দক্ষিণ এশিয়ার কথা বিশেষ করে বলছেন। তাঁরা বলছেন, বিশ্বের পরিবেশগত বিপর্যয়ের সূত্রে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা হতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার।
যেমন, দক্ষিণ এশিয়া এখন দাবদাহে নাকাল। কেন এটা হচ্ছে, এই আলোচনার জেরে এ অঞ্চলের দেশগুলির জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিই পুরোভাগে চলে এসেছে। আসন্ন এই বিপদ এমনভাবে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে মানবিক সঙ্কট এড়ানো যায়।
ভারত ও পাকিস্তানের দাবদাহ প্রায় নজিরবিহীন। একশো বছর ধরে রাখা তাপমাত্রার রেকর্ড বলছে, গত মে মাস ছিল ভারতে সবচেয়ে উষ্ণ মাস; নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস! এর আগে পাকিস্তানের জেকোবাবাদ শহরেও তাপমাত্রার পারদ চড়েছিল ৪৯ ডিগ্রি, যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বে এপ্রিল মাসে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা। মার্চ থেকে মে— এই সময়কালে ভারত পাকিস্তান দু'দেশেই বৃষ্টিপাত হয়েছে যথাক্রমে ৭১ ও ৬২ শতাংশ!
কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র দাবদাহে নাস্তানাবুদ ছিল পাকিস্তানের বেলুচিস্তান অঞ্চলও; বছরের এই সময়টায় এত বেশি তাপমাত্রা থাকার নজির এখানে নেই বললেই চলে। দিনের বেলায় কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হয়েছে। জলের ব্যাপক সঙ্কট মানুষের কষ্ট আরও বাড়িয়েছে। তাপমাত্রা যখন চরমে তখন বিদ্যুৎও ছিল দুষ্প্রাপ্য। দিনের ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত তাপানুকূল যন্ত্র ও রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করতে পারেনি এই অঞ্চলের মানুষ।
কী ভাবে মানুষ বাঁচবে এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে?
এ বছরের থিমের মধ্যেই রয়েছে সেই ইঙ্গিত। এ এ বারের থিম-- 'ওনলি ওয়ান আর্থ'। ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছে-- লিভিং সাসটেইনেবলি ইন হারমনি উইথ নেচার। প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেঁচে থাকা। থাকব কি তা আমরা? আমরা বরং এর উল্টোটাই করে চলেছি বলে প্রকৃতির রোষের স্বীকার হতে হচ্ছে আমাদের।