আসাদের পতন নিশ্চিত, ধারণা ওয়াশিংটনের
টিউনিশিয়া, মিশর, লিবিয়ার পর এবার সিরিয়া! সম্পূর্ণ হতে চলছে `আরব বসন্তের` আরও একটি বৃত্ত।
টিউনিশিয়া, মিশর, লিবিয়ার পর এবার সিরিয়া! সম্পূর্ণ হতে চলছে `আরব বসন্তের` আরও একটি বৃত্ত।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। বুধবার সিনেট প্যানেলে বক্তব্য পেশের সময় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একথা জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বিদেশ সচিব জেফরি ফেল্টম্যান। তাঁর দাবি, আরব দেশগুলোর অনেক নেতা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁদের প্রায় সবাই একই কথাই বলছেন যে, আসাদের শাসন শেষ হয়ে এসেছে।
জেফরির দাবি, আরব দেশগুলোর মধ্যে কয়েকটি দ্রুত পদত্যাগে উৎসাহিত করার জন্য ইতিমধ্যে আসাদকে নিরাপদ আশ্রয়েরও প্রস্তাব দিয়েছে। কোন কোন দেশ আসাদকে নিরাপদ আশ্রয়ের প্রস্তাব তার নামোল্লেখ না করলেও জেফরির মতে, সিরিয়ার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আসাদের ক্ষমতাচ্যূতি ও দেশত্যাগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে এক শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর গুলিতে ৮ জন গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারী নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। ইউটিউবে প্রকাশিত সিরিয়ান রেভলিউশনারি জেনারেল কমিশন-এর ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দামাস্কাসের বারজেহ এলাকায় কয়েকজন সেনা ও পুলিশ শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেওয়া জনতার উপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। মঙ্গলবার বাশারপন্থী সেনাদের গুলিতে নিহত আন্দোলনকারী বাসাম আব্দেল করিম বারাহের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে হমস ও হামা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আরো ১৬ জন নিহত হয়েছে বলে বিদ্রোহী শিবিরের লোকাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে। এছাড়া বুধবার সেনারা হমস শহরের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশ` ব্যক্তিকে আটকও সরকারি বাহিনী। গত ৭ মাস ধরে চলা প্রেসিডেন্ট আসাদবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীতে সংঘঠিত ভয়াবহ ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
গত ২ নভেম্বর আরব লিগের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার বিষয়ে আসাদ সরকার সম্মত হলেও কার্যত তা বাস্তবায়নের কোনো আভাস দেখা যাচ্ছে না। আরব লিগ প্রস্তাবিত এই
শান্তি পরিকল্পনায় সায় দিয়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে সিরিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার, রাজবন্দিদের মুক্তি এবং আরো গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিরোধীপক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরুর অঙ্গীকার করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।