Mohenjo Daro: পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় কি শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাবে মহেঞ্জো-দারো?

অগস্টের দশ দিন ধরে মহেঞ্জো-দারোয় বিপুল বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রায় ৭৭৯.৫ মিলিমিটার। সেই বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে সেখানকার প্রত্নক্ষেত্রেরও।

Updated By: Sep 7, 2022, 08:12 PM IST
Mohenjo Daro: পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যায় কি শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাবে মহেঞ্জো-দারো?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানের লাগামছাড়া বিরলগোত্রের বৃষ্টিতে দেশটি তো বিপুল সংকটে পড়েছে, পাশাপাশি তার হেরিটেজ সাইটও সংকটে। পাকিস্তানের এই বর্ষায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেখানে। রাস্তাঘাট ভেঙেছে, বাড়িঘরগুলির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ক্ষতি হয়েছে গবাদিপশুর, মারা গিয়েছেন নারী-শিশু-সহ বহু সাধারণ মানুষ। এর পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে ঐতিহাসিক ক্ষেত্র মহেঞ্জোদরোর। ১৬ অগস্ট থেকে ২৬ অগস্ট মহেঞ্জো-দারোয় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রায় ৭৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। এর ফলে এর কিছু কিছু অংশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। এমনকি, এর স্তূপের শিখরেরও ক্ষতি হয়েছে।

সিন্ধুনদীর তীরের এই ঐতিহাসিক ক্ষেত্র ভারতের ইতিহাসকেই নতুন করে লিখতে বাধ্য করেছিল। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এই ঐতিহাসিক খননকার্য ঘটেছিল। ঘটেছিল মাত্র ১০০ বছর আগে। ১৯২২ সালে। মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এসেছিল পোড়া ইটের এই নির্মাণস্থল। সেটি দেখা গিয়েছিল করাচির ৫১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। যেটি সিন্ধের লারকানা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে। ১৯৮০ সালে ইউনেসকো এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

আরও পড়ুন: Blind Psychic Baba Vanga: ২০২৩ সালে পৃথিবীতে ঘটবে মহাবিপর্যয়! বলেছেন, অব্যর্থ ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা বোঙ্গা...

ব্রোঞ্জ যুগের নগরসভ্যতা মহেঞ্জোদরোর নগর পরিকল্পনা দেখে মুগ্ধ এ কালের মানুষ। মাটির তলা থেকে বেরিয়ে আসা এর স্নানাগার, শস্যগোলা আজও মানুষকে বিস্মিত করে। এর রাস্তাঘাট, পয়ঃপ্রণালীর আধুনিকতা সেই সময়টাকে নতুন করে ফিরে দেখতে উদ্বুদ্ধ করে। জলবায়ুগত কারণেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এই সভ্যতা। হালে অতি বর্ষণে এই অঞ্চলের অবস্থা খুবই সঙ্গিন হয়ে পড়েছে। এতটাই যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের জেনারেল সেক্রেটারি আন্তোনিও গুয়েতেরেস পাকিস্তানে আসছেন মহেঞ্জোদরো ঘুরে দেখার জন্য। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, ককাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.