হিংসার নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল আওয়ামি লিগ, ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় হাসিনার, ভোট বাতিলের দাবিতে হরতালের ডাক বিরোধীদের
হিংসার ভোটের পর ভোট গণনা চলছে বাংলাদেশে, এগিয়ে হাসিনা, আওয়ামি লিগের জয়জয়কার
হিংসার আবহে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। আজ বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোট। হিংসার ভোটে ১৭ জন মারা গিয়েছেন। ভোটদানের হার খুব কম। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ভোট বয়কটের ডাক দেয়।
এক নজরে দেখে নিন ভোটের ফলের লাইভ আপডেট-- (খবর সূত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল)
ঘোষিত ফল: ৫৬, আওয়ামি লিগ-৪০, বিদ্রোহী আওয়ামি লিগ-২, জাপা-৮, জাসদ-২, ওয়ার্কার্স পার্টি- ১ ।
মোট আসন ৩০০, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ১৫৩ প্রার্থী, আজ ভোট ১৪৭ আসনে।
রাত ১০.১৫টা-- একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল শাসক দল আওয়ামি লিগ। ৩০০ আসনের সংসদে ১৫১ আসন পেলেই সরকার গঠন করা যায়। সেখানে এখন আওয়ামি লিগ পেল মোট ১৫৪ টি আসন (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ১২৭ জন, এখন জয়ী ২৭ আসনে)।
রাত ১০টা- আগামিকাল, সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাত ৯.৩০টা- রংপুর-৬: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নুর আলম জাদু লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ৯৫৬ ভোট পেয়েছেন।
রাত ১০টা- দশম সংসদ নির্বাচনে দুটি আসনের মধ্যে প্রাথমিক ভোট গণনায় রংপুরে এগিয়ে থাকলেও লালমনিরহাটে পিছিয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ।
৩৪টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।
‘একতরফা’ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সারাদেশে সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।
ঢাকা-৭: ঢাকা-৭ আসনের আজিমপুর গার্লস স্কুল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন ২৯৩ ভোট এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাজী মো. সেলিম ২৮৭ ভোট পেয়েছেন।
সন্ধ্যা ৬টা-- বড় জয়ের দিকে শেখ হাসিনা-- রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের ১০৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০টির ফলাফল ঘোষিত। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। এই কেন্দ্রে হাসিনার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন এক হাজারের সামান্য কিছু কম ভোট। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২,৬২,৭৩৫। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১০৬টি।
বিকাল ৫.৫০টা- সিলেট-২ আসনে এগিয়ে আওয়ামী লীগের ইয়াহিয়া চৌধুরী
বিকাল ৫.৪০টা- মাগুরা-১ আসনে এগিয়ে আ.লীগের ডা. আকবর
বিকাল ৫.৩৮টা-কুষ্টিয়া-৩ আসনে হানিফ ৮,৩০১, স্বতন্ত্র প্রাথী ৩৭৭
১১ কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে জাপার রুহুল আমিন
বিকাল ৫.৩০টা-- ময়মনসিংহ-৬ আসনে আওয়ামি লিগ- ৩১,০৪ ভোট৭, জাসদ-১,৪৯৫ ভোটওয়া যাক ভোটগণনার খবর লাইভ আপডেট--
আজ রবিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল চারটে পর্যন্ত। সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৫৯ জেলার ১৪৭টি আসনে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।
ভোটকেন্দ্রে হামলা ও সংঘর্ষে আট জেলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আর ভোট শুরুর আগে ভোরে সংঘর্ঘ ও আগের দিন আহত ও দগ্ধ আরো ৪জনের মৃত্যু হয়েছে এদিন। সবচেয়ে বেশি হিংসার খবর মিলেছে রংপুর, গাজিপুর, নীলফামারি ও উত্তর পশ্চিম দিনাজপুরে। ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়া বা পুড়িয়ে দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিরোধীদলের হামলায় এক অ্যাসিস্টেন্ট প্রিসাইডিং অফিসারের মৃত্যু হয়।
ভোটের আগের রাতে ও ভোটের সময় নাশকতার কারণে বিভিন্ন জেলার দেড় শতাধিক কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
বিএনপির ‘নিখোঁজ’ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে রামধানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সারাদিনে একটি ভোটও পড়েনি।
সারা দেশেই বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুব কম। ঢাকা-৭ আসনের এস কে এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশের সামনেই সাতটি ককটেল ফাটানো হয়। ঢাকা-১৮ আসনে সকালে আব্দুল্লাপুরে মালেকাবানু উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে ২০-২৫টি ককটেল বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের শতাধিক গুলি ছোঁড়ে।
মিরপুরে ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
বাংলাদেশের ভোটে ভোটার কম, বুথের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণ- চলল গুলি, মৃত ১২
এক নজরে বাংলাদেশ নির্বাচন---
মোট আসন- ৩০০, ভোট হল ১৪৭ আসনে (১৫৩ আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত)
ভোটার সংখ্যা- ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ৯৭৭। নারী ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৪১ হাজার ৯০৫; পুরুষ ৪ কোটি ৬১ লাখ ২৪ হাজার ৭২।
১৪৭ আসনে মোট ভোটার ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৭২৪। পুরুষ ২ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার ৮২৬; নারী ২ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার ৯২৮।
মোট ভোটকেন্দ্র - ৩৭ হাজার ৭০৭, ভোটকক্ষ- ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮।
১৪৭ আসনে ভোটকেন্দ্র- ১৮ হাজার ২০৮, ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ২১৩।
৩০০ আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তা-৬৬ জন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ৫৭৭ জন। ১৪৭ আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তা- ৬১ জন, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ২৮৭ জন।
যেসব জেলায় ভোট হল না- চাঁদপুর, রাজবাড়ী, জয়পুরহাট, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর।
অংশ নেয়া দলের সংখ্যা- ১২। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ১৫৩ জনসহ) ৫৪৩, এরমধ্যে পুরুষ ৫১৬, নারী ২৭, স্বতন্ত্র ১০৪। ১৪৭ আসনে প্রার্থী ৩৯০ জন।
১৪৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ১২০ জন, স্বতন্ত্র ১০৪ জন, জাতীয় পার্টির ৬৬ জন, জেপির ২৭ জন, বিএনএফের ২২ জন, জাসদের ২১ জন, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬ জন।
আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন ১৫৩ জন প্রার্থী। ফলে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন না প্রায় ৫ কোটি ভোটার। বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনের ইতিহাসে যা নজিরবিহীন। গতকালও ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। চলছে তাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বনধও। ১৮ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। হিংসার আশঙ্কায় রাজধানী ঢাকা সহ আরও কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।