শোভাযাত্রা, মঙ্গলগানে বর্ষবরণ পদ্মাপাড়ে

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে পালিত হল নববর্ষ। কচিকাঁচা থেকে বুড়ো--সাড়ম্বরে সবাই বরণ করে নিলেন ১৪১৯ কে। গোটা দেশজুড়ে নববর্ষ পালিত হলেও স্বাভাবিক ভাবেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজধানী ঢাকা।

Updated By: Apr 14, 2012, 07:29 PM IST

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে পালিত হল নববর্ষ। কচিকাঁচা থেকে বুড়ো--সাড়ম্বরে সবাই বরণ করে নিলেন ১৪১৯ কে। গোটা দেশজুড়ে নববর্ষ পালিত হলেও স্বাভাবিক ভাবেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজধানী ঢাকা।

ওপার বাংলার মতো এপার বাংলায়ও সাড়ম্বরে উদযাপিত হল নববর্ষ। সকাল থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে উত্‍‍সবের আমেজ। ভোর থেকে মানুষ নেমে পড়েছিলেন রাস্তায়। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রার পর রমনা, শাহবাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মানুষের ঢল নামে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর ছায়ানটের শিল্পীরা পরিবেশন করেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, বলেন্দ্রনাথ, শাহ আবদুল করিম, লালন শাহ, তোরাব আলি শাহ এবং জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বাংলা বিভাগ, কলাভবনের বটতলায় সঙ্গীত বিভাগ ও কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর এবং আমতলায় দর্শন বিভাগে আয়োজন করা হয়েছিল বৈশাখ অনুষ্ঠানের। বেলার দিকে শুরু হয় বৈশাখের ঐকতান। দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল মাঠ এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজন করা হয় আরও দুটি সঙ্গীতানুষ্ঠানের।
বর্ষবরণের উত্‍‍সবকে কেন্দ্র করে আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একসঙ্গে দায়িত্বে ছিল র‌্যাব ও পুলিস। রমনা বটমূলে ছিল র‌্যাব-এর চল্লিশটি এবং পুলিসের ৭৬টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। সকাল থেকেই নিয়ন্ত্রিত ছিল যান চলাচল। এদিন সকালেই তিন দিনের তুরস্ক সফর সেরে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

.