Bangladesh Protest: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ইউনূস, জেলমুক্তি খালেদা জিয়ার! কী হবে বাংলাদেশে?
Mohammad Yunus as interim govt chief: দেশ ছেড়েছেন হাসিনা। খালেদা জিয়াকে দ্রুত জেল থেকে মুক্তির নির্দেশ। আজই ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা বিএনপি নেত্রীর। মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা। এ বার কোন পথে বাংলাদেশ?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হাসিনা দেশ ছাড়তেই উল্লাস ঢাকার রাজপথে। অশান্ত বাংলাদেশে চরমে অব্যবস্থা। শেখ হাসিনা এখনও ভারতে। লন্ডনে যাওয়ার পরিকল্পনা শেখ হাসিনার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে রূপরেখা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছে। এদিকে আজই জেলমুক্তি BNP নেত্রী খালেদা জিয়ার।
সব মিলিয়ে সামনে নানা প্রশ্ন। ফলে গোটা বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশের দিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই রূপরেখা ঘোষণা করছি। ইঙ্গিত, ইউনূস সেই দায়িত্ব নিতে চলেছেন। সেক্ষেত্রে তিনিই হবেন প্রথম বাঙালি নোবেল জয়ী প্রধানমন্ত্রী।
নাহিদ ইসলাম বলেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সর্বজন গ্রহণযোগ্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি ছাত্র–জনতার আহ্বানে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে এই গুরুদায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তিকামী ছাত্র–জনতাকে রাজপথে থেকে তাঁদের অভ্যুত্থান রক্ষা করতে হবে। তাঁরা রক্ত দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। তাঁদের যে প্রতিশ্রুতি একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করার জন্য, সেটিকে তাঁদের অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, দুপুর দুটোর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন না করলে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তবে তাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে অন্তবর্তী সরকারের জন্য কারও নাম প্রস্তাব করা হয়নি। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আহ্বান এলেই বিএনপি নাম পাঠাবে। তবে দেশ ছাড়ার পর এবার রাজনীতি ছাড়বেন। ইঙ্গিত হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের।
ভারত-বাংলাদেশ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে নজর নয়াদিল্লির। আজ থেকে খোলা বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ। খোলা বাংলাদেশের সব অফিস, কলকারখানা। বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে। বিএসএফের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সীমান্তে মোতায়েন করা জওয়ানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ফের প্রভাব পড়েছে দু-দেশের বাণিজ্যেও। কার্যত বন্ধ আমদানি-রফতানি। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অশান্তির পরিস্থিতির মধ্য সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বোনকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, Bangladesh Protest:অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি! আকাশপথেও এবার বিচ্ছিন্ন ভারত-বাংলাদেশ...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)