দৃষ্টিহীনদের দিশা দেখাচ্ছে `বায়োনিক` চোখ
অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টিশক্তিহীন ড্যানি এ্যার্সোথ প্রথম মহিলা যাঁর সফলভাবে বায়োনিক চক্ষু প্রতিস্থাপিত হল। গত মে মাসে রয়্যাল ভিক্টোরিয়ান আই এ্যান্ড ইয়ার হসপিটালে তাঁর দৃষ্টিহীন চোখে এই যন্ত্রটি বসানো হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার দৃষ্টিশক্তিহীন ড্যানি এ্যার্সোথ প্রথম মহিলা যাঁর সফলভাবে বায়োনিক চক্ষু প্রতিস্থাপিত হল। গত মে মাসে রয়্যাল ভিক্টোরিয়ান আই এ্যান্ড ইয়ার হসপিটালে তাঁর দৃষ্টিহীন চোখে এই যন্ত্রটি বসানো হয়েছিল।
দৃষ্টিশক্তি প্রতিস্থাপনের পর তাঁর বিষ্ময় প্রকাশ করে জানান যে তিনি জানতেনই না তাঁর জীবনে কী হতে চলেছে। চোখ খুলে তিনি কী দেখবেন এটাও সবার কাছে অজানা ছিল। তিনি জানান প্রথম চোখ খোলা মাত্রই তাঁর সামনে একটা আলোর ঝলক দেখতে পান তারপর কিছু সাদা কালো লাইন ও ধোঁয়াশা মতো ছবি চোখের সামনে ভাসতে থাকে। আস্তে আস্তে তাঁর চারপাশের সবকিছু উজ্জ্বল ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথমবার জীবনের ছবি দেখে তিনি স্বভাবতই আনন্দ চেপে রাখতে পারেননি।
ডাক্তার পেনি অ্যালেন, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই প্রোটোটাইপ `বায়োনিক` চোখের মধ্যে ২৪টি ইলেক্ট্রোড্সের একটি তার রেটিনার সাথে আটকানো থাকে। এই তারটি চোখের স্নায়ুর ভিতর স্পন্দন পাঠায়। এই স্পন্দনের সাহায্যেই মস্তিস্ক সঠিকভাবে বাইরে বস্তু নির্ধারন করতে পারে।
তবে বলাই বাহুল্য, অস্ট্রেলিয়ার বায়োনিক ভিসনের প্রচেষ্টায় তৈরি এই অভিনব যন্ত্রটি অন্ধ মানুষের চোখের দৃষ্টি আনার ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাতে চলেছে।