লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের, ছোড়া পাথরে ভাঙল জানালা
গত ১৫ অগাস্টও ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কিছু লোক। তাদের হাতে ছিল খালিস্তান ও কাশ্মীরের পতাকা
নিজস্ব প্রতিবেদন: পনেরো অগাস্টের পর ফের একবার। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাল ব্রিটিশ-পাকিস্তানিরা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করে হওয়া বিক্ষোভে ভাঙল হাইকমিশনের জানালার কাচ। এনিয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত।
আরও পড়ুন-ভারতের ওষুধ ছাড়া চলছিল না, চাপে আমদানি-নিষেধাজ্ঞা তুলতে বাধ্য হল পাকিস্তান
ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গা থেকে এদিন প্রায় হাজার দশেক ব্রিটিশ পাকিস্তানি এসে জড়ো হল ভারতীয় দূতাবাসের সামনে। কর্মসুচিটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘কাশ্মীর ফ্রিডম মার্চ’। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন ‘ইউ ওয়ান্ট ফ্রিডম’, ‘স্টপ সেলিং ইন কাশ্মীর’।
Another violent protest outside the Indian High Commission in London today, 3 September 2019. Damage caused to the premises. @foreignoffice @UKinIndia @MEAIndia @DominicRaab @DrSJaishankar @PMOIndia @tariqahmadbt pic.twitter.com/2sv0Qt1xy8
— India in the UK (@HCI_London) September 3, 2019
দূতাবাসকে লক্ষ্য করে ডিম, টমেটো, জুতো, পাথর, স্মোক বোমা ছুড়ে একাধিক জানালার কাচ ভেঙে দেয় বিক্ষোভকারীরা। সেই ছবি ট্যুইট করেছে ভারতীয় দূতাবাস। লন্ডনের মেয়র সাকিব খান নিজেও একজন পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন তিনি। এক ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এক নিন্দা করছি।
এদিকে মঙ্গলবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এক টুইটে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর দূতাবাসের সামনে ফের বিক্ষোভ হয়েছে। দূতাবাস চত্বরের ক্ষতি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-উত্তর দিনাজপুরে জেএমবি-র মডিউল, চলছিল জঙ্গি নিয়োগ, মালদহে ধৃত ২ সন্ত্রাসী
গত ১৫ অগাস্টও ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কিছু লোক। তাদের হাতে ছিল খালিস্তান ও কাশ্মীরের পতাকা। পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে তারা এগিয়ে যেতে গেল পুলিসের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। তার পরেই তারা দূতাবাস লক্ষ্য করে ডিম, পাথর, কাচের বোতল ছোড়ে।
গত পনেরো অগাস্টের বিক্ষোভ নিয়ে খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ফোন করেন মোদী। এনিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন জনসন। তার পরেও এই বিক্ষোভ।