করোনা প্রতিরোধে নয়া ওষুধ! ১৮৮ জন রোগীর উপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করল চিন
চিন যদিও রোচের ওষুধে এখনও সরকারিভাবে সিলমোহর দেয়নি। অ্যাকট্রেমা নামে ওই ওষুধ করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অ্যাকট্রেমাকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে চিনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রিশন
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। তবে, সুইত্জারল্যান্ডের রোচে হোল্ডিং এজি সংস্থা জানাচ্ছে, তাদের তৈরি নয়া ওষুধ নাকি করোনা রুখতে সক্ষম। যে সব করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসে গভীর ক্ষত এবং ইন্টারলিউকিন ৬ প্রোটিনের ভারসাম্য হারাচ্ছে, সে সব ক্ষেত্রে রোচের ওষুধ অত্যন্ত কার্যকরী বলে দাবি সুইত্জারল্যান্ডের সংস্থার।
চিন যদিও রোচের ওষুধে এখনও সরকারিভাবে সিলমোহর দেয়নি। অ্যাকট্রেমা নামে ওই ওষুধ করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অ্যাকট্রেমাকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে চিনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রিশন। রোচের দাবি, ইন্টারলিউকিন ৬ সংক্রান্ত উপসর্গে অ্যাকট্রেমা দারুণ কাজ করবে। গত ফেব্রুয়ারি ১০ থেকে মে মাসের ১০ তারিখ পর্য্ত ১৮৮ জন কোরনা আক্রান্ত রোগীর উপর পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাকট্রেমা প্রয়োগ করছেন চিনা গবেষকরা। অ্যাকট্রেমার প্রতিক্রিয়া নিয়ে মুখ খোলেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন- লাদেনকে খোঁজ দিয়ে সরকারের রোষে পাক চিকিত্সক, জেলেই বসলেন অনশনে
সোমবার রোচে জানিয়েছে, শুধুমাত্র চিনেই ২০ লক্ষ ডলার অ্যাকট্রেমা বিক্রি করেছে। জানুয়ারি মাসে অ্যাকট্রেমা বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা করেছে বলে দাবি সংস্থার। অন্যদিকে, বায়ো-থেরা সলিউশন, ঝিজিয়াং হিসুন ফারমাকিউটিক্যালের মতো চিনা সংস্থাগুলি অ্যাকট্রেমা নকল করে বিকল্প ওষুধ তৈরির দৌড়ে নেমে পড়েছে।
*********************
** নোভেল করোনাভাইরাস কাকে বলে?
নোভেল করোনাভাইরাস একেবারেই নতুন একটি ভাইরাস। ২০১৯-নোভেল ভাইরাসের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। মানুষে মধ্যে যে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে তা প্রধানত চার ধরনের হতে পারে। আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা। যে ভাইরাস গুলি মানুষকে আক্রমণ করছে সেগুলি হলো – (আলফা)229E, (আলফা)NL63, (বিটা)OC43, (বিটা)HKU1।
এছাড়াও আরও কিছু করোনাভাইরাস আছে। যেগুলি সাধারণত জীবজন্তু থেকে আসে। সেগুলি হলো - MERS-COV, SARA-COV, 2019-Novel Coronavirus.
** কি করে নিজেকে রক্ষা করবেন এই ভাইরাস থেকে?
এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাসের ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু কিছু নিয়ম যদি আমরা প্রতিনিয়ত অনুসরণ করি, তাহলে হয়তো এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি।
** সাবধানতা বজায় রেখে রোগীর চিকিত্সার ব্যবস্থা করুন। অবশ্যই বেশ কিছু ক্ষেত্রে দূরত্বও বজায় রাখা দরকার।
** কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে ভাল করে হাত ধুতে হবে।
** ভাল করে হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ, নাকে হাত দেওয়া যাবে না।
** অসুস্থ থাকলে বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করুন। এবং চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
** হাঁচি-কাশি বা সর্দির সময় রুমালের বদলে টিস্যু ব্যবহার করুন।
** নিজেকে সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।
** যদি কাছের মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাহলে কি করা উচিত?
এই ভাইরাস এতটাই ছোঁয়াচে যা কমার বদলে বেড়েই চলেছে। সাধারণত জীব-জন্তুর থেকে প্রথমে মানুষের মধ্যে তারপর একজনের থেকে অন্য জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। যদি কেউ নিশ্চিত থাকেন করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে তাঁকে এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করতে হবে।
** ঘরেই থাকার চেষ্টা করুন এবং চিকিৎসার সাহায্য নিন।
** বাড়িতেই নিজের আলাদা ঘরে থাকুন। অন্য মানুষদের সঙ্গে না থাকাই ভাল এই সময়।
** চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেওয়া উচিত।
** করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিরা মাস্ক ব্যবহার করুন।
** ভাল করে নিজের হাত পরিষ্কার করুন।
** নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কারোর সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
** নিজের মধ্যে কী পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন তা লক্ষ করুন।
** কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন?
জ্বর, কাশি, হাঁচি হতে পারে। প্রবল শ্বাসকষ্ট হবে। কারোর ২ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর বা কাশি থাকে তাহলে দ্রুত চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ নিন।