ফের কূটনীতির চাল! WHO-কে আরও ৩ কোটি ডলার দিয়ে আমেরিকাকে চাপে ফেলল চিন
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে গেং গুয়াং বলেছেন, "আগের ২ কোটি ডলারের সংযোজন হিসেবে এই কঠোর সময়ে উন্নত দেশ গুলির স্বাস্থ্য কাঠামো উন্নতির জন্য চিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আরও ৩ কোটি ডলার আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই দেশের মধ্যে বিবাদ আগে থেকেই ছিল। তবে করোনা প্রসঙ্গে তরজা তুঙ্গে ওঠে। প্রশ্নবানে বিধ্বস্ত করে একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে থাকে দুই যুযুধান দেশ চিন এবং আমেরিকা। সেই আগুনেই নতুন করে ঘৃতাহুতি দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৩ কোটি ডলার বাড়তি অনুদান ঘোষণা করল চিন।
প্রথম থেকেই করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে একে অপরকে বিঁধেছে চিন ও আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে চিনা ভাইরাস বলেও দোষারোপ করেছিলেন বেজিংকে। কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ইচ্ছাকৃত ভাবেই হোক বা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী চিন। তাঁরা যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করে থাকে তাহলে ফল ভালো হবেনা। এমনও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে পাল্টা দিতে ছাড়েনি চিনের কমিউনিস্ট সরকারও। আমেরিকার মিলিটারি বাহিনীই চিনে ভাইরাস ছড়িয়েছে। এরকম চাঞ্চল্যকর দাবি করে চিনের বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন:এই দুজন এতদিন জানতেনই না, করোনাভাইরাস বলে কিছু একটা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের পক্ষপাতিত্ব করছে এই অভিযোগ এনে জেনেভায় হু-এর সদর দফতরে অনুদান আগেই পাঠানো বন্ধ করেছিল আমেরিকা। এমনকি মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা প্রমাণ দিয়ে জানিয়েছিলেন, বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের হাতিয়ার, এমনও অভিযোগ উঠেছিল আমেরিকার তরফে। বারবারই আমেরিকার প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশে দাঁড়িয়ে এবার এই আর্থিক অনুদান ঘোষণা করল চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে গেং গুয়াং বলেছেন, "আগের ২ কোটি ডলারের সংযোজন হিসেবে এই কঠোর সময়ে উন্নত দেশ গুলির স্বাস্থ্য কাঠামো উন্নতির জন্য চিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আরও ৩ কোটি ডলার আর্থিক অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
একদিকে যখন আমেরিকা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুদান বন্ধ করছে তখনই চিনের বাড়তি অনুদান দেওয়ার এই ঘোষণা যে যথেষ্ট বার্তাবহ তা স্পষ্ট। তবে কোভিড সংক্রমণের এই কঠোর সময়ে বিশ্ব কূটনীতির রঙ্গমঞ্চে নতুন নতুন চাল যে দিচ্ছেন দুই প্রধান। তা কার্যত দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।