China-Taiwan Tension: বাড়ছে উত্তেজনার পারদ! তাইওয়ান আক্রমণ করবে চিন?
আমেরিকার এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ইউএসএস রোনাল্ড রেগানের প্রায় ৬০টি বিমানের মধ্যে বেশিরভাগ বিমানই ইয়ামাগুচি প্রিফেকচারের মেরিন এয়ার কর্পস ইওয়াকুনি এয়ার উইংয়ে ফিরে এসেছে। আমেরিকার ক্যারিয়ার গ্রুপ ৫-এর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে চিন। আগামী কয়েক দিন দুই দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান জাপানে ফিরে এসেছে। চিনের জন্য সবথেকে বড় ভয় ছিল আমেরিকার সপ্তম নৌবহর। সোমবার জাপানের প্রতিনিধি দল তাইওয়ান যাচ্ছে। এই অবস্থায়, চিন যদি উত্তেজিত হয়ে তাইওয়ানে হামলা চালায় তাহলে আমেরিকার সাহায্য পেতে সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পরেই তাইওয়ানে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। তাইওয়ানকে ঘিরে করে সামরিক অনুশীলন শুরু করেছে চিন। তাইওয়ানের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করছে তাঁরা। কিন্তু তাইওয়ানের প্রস্তুতি এবং তাইওয়ানের কাছে মার্কিন সপ্তম নৌবহরের উপস্থিতির কারণে তাঁরা কিছু করার চেষ্টা করেনি।
এই সপ্তম নৌবহরের নেতৃত্বে রয়েছে অত্যন্ত প্রাণঘাতী এবং পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান। কিন্তু এখন তাইওয়ান থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে কে এই এলাকায় বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে চিন।
আরও পড়ুন: Shelling on North Syria:সিরিয়ায় দু'টি হামলা! কামানের গোলায় শিশু-সহ নিহত ১৯
আমেরিকার এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার ইউএসএস রোনাল্ড রেগানের প্রায় ৬০টি বিমানের মধ্যে বেশিরভাগ বিমানই ইয়ামাগুচি প্রিফেকচারের মেরিন এয়ার কর্পস ইওয়াকুনি এয়ার উইংয়ে ফিরে এসেছে। আমেরিকার ক্যারিয়ার গ্রুপ ৫-এর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। বন্দরে থাকাকালীন, ক্যারিয়ার গ্রুপ ৫-এর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জো কেলি বলেছেন যে বন্দরে থাকাকালীন, রোনাল্ড রিগান রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। মার্কিন নৌবাহিনীর একমাত্র ফরোয়ার্ড-ডিপ্লোয়েড এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার হিসাবে তার ভূমিকা পালনে এবং যে কোনও অর্পিত কাজের প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
রোনাল্ড রিগানের প্রত্যাবর্তনের অর্থ এও হতে পারে যে আমেরিকা বুঝতে পেরেছে যে চিন তাইওয়ানে আক্রমণ করার অবস্থাইয় নেই এবং শুধুমাত্র সামরিক অনুশীলনের মাধ্যমে তার জনগণকে খুশি করতে চায়। কিন্তু এই সমীকরণ ঠিক না হলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।