করোনা ছড়ানোর পর চিনের বিরুদ্ধে প্রতিষেধকের তথ্য চুরির অভিযোগ আনল আমেরিকা
স্পষ্ট অভিযোগ, চিন টেক্সাসের গবেষণা চুরি করার চেষ্টা করছে যাতে তাঁরা বলতে পারে ভাইরাস থেকে সারা বিশ্বকে বাঁচিয়েছে তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একে অপরকে এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ আমেরিকা ও চিন। ক্রমাগত বাক্যবাণে একে অপরকে দুষছে দুই দেশ। এবার চিনের বিরুদ্ধে করোনা প্রতিষেধকের গবেষণা চুরির অভিযোগ তুলল আমেরিকা। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা প্রতিষেধকের গবেষণা আশা জোগাচ্ছে। সেই গবেষণাই নাকি হস্তগত করতে চেয়েছিলেন হোস্টনের চিনা দূত, এমনই অভিযোগ এনে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগযোগ করেছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (FBI)। একথা বলছে একটি চিনা সংবাদমাধ্যম।
টেক্সাসের গবেষকদের মেল করে FBI জানিয়েছে, চিনা সরকার অবৈধভাবে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের তথ্য কেড়ে নিতে চাইছে। সম্প্রতি জাতীয় অবস্থার কথা মনে করিয়ে গবেষকদের উপর প্রভাব পড়তে পারে বলেও বলা হয়েছে ওই মেলে।
আরও পড়ুন: বছর কুড়ি কাটিয়ে দেশে ফিরছে 'প্রবাসী' শিব! চুরি যাওয়া মূর্তি ফিরিয়ে দিচ্ছে ব্রিটেন
তবে ইতিমধ্যেই হোস্টোনের চিনা দূতাবাসে ঝাঁপ পড়েছে। পালটা দিয়ে চেংদুতে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করেছে বেজিং। চিনের হংকং নীতি, জিনজিয়াংয়ের মানবধিকার লঙ্ঘন ও দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসনের প্রসঙ্গ টেনে বারবারই তীব্র বিরোধিতা করেছে হোয়াইট হাউস।
টেক্সাসের কংগ্রেস রাজনীতিবিদ মাইকেল ম্যাককল অভিযোগ তুলেছিলেন, হোস্টনের চিনা দূতাবাসই বেজিংয়ের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা চুরির আঁতুড় ঘর। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, চিন টেক্সাসের গবেষণা চুরি করার চেষ্টা করছে যাতে তাঁরা বলতে পারে ভাইরাস থেকে সারা বিশ্বকে বাঁচিয়েছে তাঁরা।