ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে আমেরিকাকে হস্তক্ষেপ না করার হুঁশিয়ারি চিনের
এই পেন্টাগনের তরফে এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি দেশ অন্যের বাহিনী প্রত্যাহারের এবং পুরনো অবস্থার ফিরিয়ে আনার দাবি করেছিল। কিন্তু চিন অথবা ভারত কেউই সেই শর্তগুলিতে একমত হয়নি’। ১৫ জুন, ২০২০ তারিখে, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হয় যার। এর ফলে প্রায় কুড়ি জন ভারতীয় সৈন্য এবং চারজন পিএলএ সৈন্য নিহত হয়। পিআরসি-র তরফে এই খবর পাওয়া গিয়েছে বলে রিপর্টে জানানো হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের বিষয়ে আমেরিকাকে হস্তক্ষেপ না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। পেন্টাগন কংগ্রেসে একটি প্রতিবেদনে এই কথা বলেছে। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে পেন্টাগন জানিয়েছে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর ভারতের সঙ্গে তাদের স্ট্যান্ডঅফ চলাকালীন, চিনা আধিকারিকরা সঙ্কটের তীব্রতা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। সীমান্তের স্থিতিশীলতা রক্ষা করার জন্য বেজিংয়ের প্রচেষ্টাকে জোর দিয়ে দেখিয়ে ছিলেন তারা যাতে এরফলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যান্য ক্ষেত্রের ক্ষতি না হয়।
পেন্টাগন তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, ‘পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না) সীমান্তে উত্তেজনার ফলে যাতে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ না হয় তা রোধ করতে চায়’।
চিন-ভারত সীমান্তের একটি অংশে, পেন্টাগন বলেছে PLA ২০২১ জুড়ে, বাহিনী মোতায়েন এবং LAC বরাবর পরিকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। উভয় পক্ষই সীমান্তে তাদের সুবিধা বজায় রাখতে চেয়ে আলোচনা করছে এবং তাতে ন্যূনতম অগ্রগতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিয়েনানমেন স্কোয়ারের স্মৃতি ফিরিয়ে চিনে প্রতিবাদের মুখ 'ট্যাঙ্ক লেডি'
২০২০ সালের মে থেকে, চিনা এবং ভারতীয় বাহিনী LAC বরাবর একাধিক জায়গায় কাঁটাতারে মোড়ানো পাথর, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে মুখোমুখি হয়েছিল। এর ফলে সীমান্তের উভয় দিকে বাহিনী বাহিনী বৃদ্ধির ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এই পেন্টাগনের তরফে এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি দেশ অন্যের বাহিনী প্রত্যাহারের এবং পুরনো অবস্থার ফিরিয়ে আনার দাবি করেছিল। কিন্তু চিন অথবা ভারত কেউই সেই শর্তগুলিতে একমত হয়নি’।
এখানে বলা হয়েছে, ‘পিআরসি ভারতের পরিকাঠামো নির্মাণকে এই স্ট্যান্ডঅফের জন্য দায়ী করেছে। এই ঘটনাকে তারা পিআরসি ভূখণ্ডে দখল হিসাবে মনে করেছে। অন্যদিকে ভারতের তরফে চিনকে ভারতের ভূখণ্ডে আগ্রাসী অনুপ্রবেশ শুরু করার জন্য অভিযুক্ত করেছে’।
২০২০ সালের সংঘর্ষের পর থেকে, PLA একটি অবিচ্ছিন্ন সেনা উপস্থিতি বজায় রেখেছে এই অঞ্চলে এবং LAC বরাবর তাদের পরিকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। ২০২০ সালের গালওয়ান উপত্যকার ঘটনাটি গত ৪৬ বছরের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ ছিল বলে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
১৫ জুন, ২০২০ তারিখে, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হয় যার। এর ফলে প্রায় কুড়ি জন ভারতীয় সৈন্য এবং চারজন পিএলএ সৈন্য নিহত হয়। পিআরসি-র তরফে এই খবর পাওয়া গিয়েছে বলে রিপর্টে জানানো হয়েছে।