Complete Human Genome: রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে নতুন দরজা খুলে দিল জিনবিন্যাসের ৮ শতাংশ!
মানব জিনের পূর্ণাঙ্গ বিন্যাস উন্মোচিত হল। বিষয়টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে-- পূর্ণাঙ্গ মানব-জিনের বিন্যাস করতে পারা মানে নতুন একটি চশমা যুক্ত করা। এর ফলে মানুষ এখন আরও পরিষ্কারভাবে সবকিছু দেখতে পাবে!
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমবারের মতো মানুষের জিনের পূর্ণাঙ্গ বিন্যাস উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণায় দু'হাজার নতুন জিন শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এসব জিনের বেশির ভাগই নিষ্ক্রিয়। ১১৫টি জিন সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে।
মানুষের জিনবিন্যাসের ৯২ শতাংশ উন্মোচন হয়েছিল ২০০৩ সালে। বাকি থাকা ৮ শতাংশের বিশ্লেষণ হল এই ২০২২ সালে। এই কাজটা করতে প্রায় দু'দশক লাগল। গত বৃহস্পতিবার 'টেলোমিয়ার টু টেলোমিয়ার' (টিটুটি) নামের বিজ্ঞানীদের একটি কনসোর্টিয়াম থেকে পূর্ণাঙ্গ জিনবিন্যাসের এই ঘোষণা করা হয়েছে।
এর ফলে কী লাভ হল আমজনতার?
এর ফলে মানবদেহের প্রতিটি কোষ কীভাবে গঠিত হয়, তা ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে। যে ব্যাখ্যা রোগের কারণ অনুসন্ধান, রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিরাময়ে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। বিজ্ঞানীরা বলেন, জীবজগতের বংশগতির সব বৈশিষ্ট্যই এক বা একাধিক জিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।
মানুষের জিনের পূর্ণাঙ্গ বিন্যাসকে যুগান্তকারী বলেছেন যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের 'মেডিকেল অ্যান্ড মলিকুলার জেনেটিকসে'র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক কলিন জনসন। তিনি বলেন, 'এর মাধ্যমে মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়, প্রতিটি পৃষ্ঠা চোখের সামনে খুলে যাবে।'
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল হিউম্যান জিনোম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে বলা হয়েছে-- মানুষের জিনের পূর্ণাঙ্গ বিন্যাস করাটাই এক অবিশ্বাস্য বৈজ্ঞানিক অর্জন। এর ফলে এই প্রথমবার আমরা আমাদের ডিএনএ নকশার পূর্ণাঙ্গ ছবি পাব।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: চিন যদি ভারত আক্রমণ করে, ভারতকে বাঁচাতে রাশিয়া কি এগিয়ে আসবে?