বাস্তবের বজরঙ্গী ভাইজানের সন্ধানে পাকিস্তানে দিন গুনছেন পাকিস্তানে 'আটক' ভারতীয় মূক-বধির যুবতী

বাস্তবের বজরঙ্গী ভাইজানের খোঁজে বছর ২৩-এর ভারতীয় তরুণী। না, কোনও বলিউডি সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। এ বাস্তব। করাচিতে আটক ওই মূক-বধির ভারতীয় কিশোরীর ভারতে তার পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাওয়ার সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।  

Updated By: Aug 3, 2015, 03:51 PM IST
বাস্তবের বজরঙ্গী ভাইজানের সন্ধানে পাকিস্তানে দিন গুনছেন পাকিস্তানে 'আটক' ভারতীয় মূক-বধির যুবতী

ওয়েব ডেস্ক: বাস্তবের বজরঙ্গী ভাইজানের খোঁজে বছর ২৩-এর ভারতীয় তরুণী। না, কোনও বলিউডি সিনেমার চিত্রনাট্য নয়। এ বাস্তব। করাচিতে আটক ওই মূক-বধির ভারতীয় কিশোরীর ভারতে তার পরিবারের সদস্যদের খুঁজে পাওয়ার সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।  

১৪ বছর আগে ইধি ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে ৯ বছরের ওই কিশোরীকে তুলে দেয় পাকিস্তানের পাঞ্জাব রেঞ্জার্স।

''বছরের পর বছর আমরা ওই তরুণীর পরিবার ও আদি বাসস্থানের খোঁজ করে চলেছি আমরা।'' জানিয়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ফইজল ইধি।

লাহোরের ইধি সেন্টারে কিছুদিন থাকার পর ওই কিশোরীকে করাচিতে বিলকিস ইধির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের এই মানবপ্রেমী ভদ্রমহিলা ''দ্য মাদার অফ পাকিস্তান'' নামে খ্যাত। বিলকিস ওই কিশোরীর নাম দেন গীতা। আস্তে আস্তে গীতার সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ছোট বেলায় ভুল করেই সীমান্ত পেড়িয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন ওই তরুণী।

মোবাইল ফোনে ভারতীয় ম্যাপ সনাক্তে সক্ষম হলেও ইধি কর্মীদের তার থেকে বেশি কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।

কোনও রকমে ওই তরুণী ঝাড়খণ্ড ও তেলেঙ্গানাকে চেনাতে পেরেছেন। কিন্তু নিজের অতীত সম্পর্কে শুধুমাত্র এই টুকুই চিহ্নিত করতে পেরেছেন তিনি।

হাত নেড়ে ও মুখে অঙ্গভঙ্গি করে গীতা যেটুকু যেটুকু বোঝাতে পেরেছেন তার থেকে বোঝা গেছে তাঁর সম্ভবত সাত ভাই ও তিন বোন আছে। কোনও রকমে ম্যাগাজিন দেখে হিন্দি অক্ষর কপি করে লিখতে পেরেছেন গীতা।

মানবাধিকার কর্মী ও প্রাক্তন মন্ত্রী আনসার বার্নে পিটিআইকে জানিয়েছেন গীতা হিন্দু ধর্মের বিশ্বাসী। তাঁর আশ্রয়দাতারা তাঁর ঘরটি হিন্দু দেব-দেবীদের পোস্টারে সাজিয়ে দিয়েছেন। উপাসনার জন্য তাঁর টেবিলে আছে একটি প্রদীপ।

গীতার জন্য জন্য হিন্দু দেব-দেবীদের মূর্তিও এনে দিয়েছেন তাঁরা।

গীতার পরিবারকে খুঁজে পাওয়ার সমস্ত আশাই যখন তাঁরা হারিয়ে ফেলে ছিলেন, তখন সল্লু ভাইয়ের নয়া ব্লক ব্লাস্টার নতুক করে আশা দেখিয়েছে তাঁদের।

আরও একবার কোমর বেঁধে গীতার পরিবারকে খুঁজতে শুরু করেছেন ফইসলরা।

এই মুহূর্তে ফেসবুকের মত সোশ্যাল মিডিয়াকে অস্ত্র করতে চাইছেন তাঁরা।

''গত বছর ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা গীতার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন। তাঁরা গীতার ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। গীতা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যও নিয়ে যান। কিন্তু তারপর আর ফিরে আসেননি কেউই।'' মন্তব্য ফইসলের।

পাকিস্তানেরই এক হিন্দু যুবকের সঙ্গে গীতার বিয়ে ঠিক করেছিলেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু, গীতা সাফ জানিয়েছেন দেশে না ফেরা পর্যন্ত বিয়ে করবেন না তিনি।

বজরঙ্গী ভাইজানে সলমনের হাত ধরে পাকিস্তানে ফিরে গিয়েছিল মূক-বধির এক শিশু কন্যা।

এই মুহূর্তে বাস্তবের সেই বজরঙ্গী ভাইজানের সন্ধানেই দিন গুজরান করছেন গীতা। অপেক্ষা করছেন কবে সেই ভাইজান এসে তাঁকে তাঁর মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।

 

.