জলবায়ুতে জরুরি অবস্থার ডাক দিলেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব
করোনাভাইরাসের জেরে এ বছর কার্বন নিঃসরণ কিছুটা কমেছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলবায়ুতে জারি হোক জরুরি অবস্থা। বললেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসঙ্ঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রতি জলবায়ুতে জরুরি অবস্থা জারির ডাক দিয়েছেন। প্রতিটি দেশকে কার্বন নিঃসরণ প্রতিশ্রুত মাত্রায় কমিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি।
'ক্লাইমেট অ্যামবিশন' শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এই আহ্বান জানান। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সম্মেলনের আয়োজন হয়েছে।
আন্তোনিও তাঁর ভাষণে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে বলেন। দেশগুলিকে মনে করিয়ে দেন, তাদের বর্তমান প্রতিশ্রুতি পর্যাপ্ত নয়। তিনি সাবধান করে দেন, 'এখনই নিজেদের কর্মপন্থা পরিবর্তন না করলে চলতি শতকেই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি দেখব আমরা, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।' এর পরে তিনি বলেন, 'এ কারণেই আজ আমি বিশ্বের সব নেতাকে তাঁদের নিজের নিজের দেশে জলবায়ুতে জরুরি অবস্থা জারির আহ্বান জানাচ্ছি।'
শেষে যোগ করেন, বায়ুমণ্ডলে কার্বন জমা পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনার ('কার্বন নিউট্রালিটি') লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই জরুরি অবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেষ্টায় ২০১৫ সালে প্যারিসে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলি তাদের বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে এ পর্যন্ত অগ্রগতি খুব কমই হয়েছে।
অবশ্য চলমান করোনাভাইরাসের অতিমারীর মধ্যে বিভিন্ন দেশ লকডাউন ও চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় এ বছর কার্বন নিঃসরণ কিছুটা কমেছে বলে গত সপ্তাহেই জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
also read: আগামীকাল সোমবার থেকেই করোনা টিকাকরণ শুরু আমেরিকায়