Bangladesh Quota Agitation: কোটা আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, বন্ধ ঘোষণা হল ঢাকা-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়
Bangladesh Quota Agitation: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, পড়ুয়ারা হেঁটেছেন অন্য রাস্তায়। ক্যাম্পাসে তারা মিছিল করেছেন, সভা করেছেন। পড়ুয়াদের হল না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলেনের জেরে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হচ্ছে বাংলাদেশে। পুলিস, ছাত্রলিগ, বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন ৬ জন। এদের মধ্যে তিনজন পড়ুয়া। এরকম এক পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধে ৬টার মধ্যে আবাসিকদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের ভাঁড়ার 'বেহাল', ১০০% নিয়োগ নয়! সরকারি চাকরিতে কাটছাঁট...
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে গতকাল বিকেলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হল। বহিরাগত কাউকেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ফেরানো হবে।
কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তা অবরোধ করেন। এরপরই হামলার শিকার হন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে ঢাকায় ২ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন ও রংপুরে একজন নিহত হন। আহত হন চারশোরও বেশি।
এদিকে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, পড়ুয়ারা হেঁটেছেন অন্য রাস্তায়। ক্যাম্পাসে তারা মিছিল করেছেন, সভা করেছেন। পড়ুয়াদের হল না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দুপুর ১২টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সকল পঠনপাঠান ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার সকাল দশটায় টায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনের কারণে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হলো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে ১৭ জুলাই বিকাল ৪টের মধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)