রানিতন্ত্রের ৬০ বছর
একচল্লিশটি তোপধ্বনি। টেমসে সহস্র বজরার পাল। আর দেশজুড়ে উত্সবের ঢালাও আয়োজন। ব্রিটেনের সিংহাসনে রানি এলিজাবেথের ৬০ বছর উপলক্ষে এভাবেই সেজে উঠল গোটা ইংল্যান্ড। রানির অভিষেকের হীরকজয়ন্তীর অনুষ্ঠান এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দেখছে ইংল্যান্ড। ১৮৫৭ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে আরোহনের ৬০ বছর পালন করেছিল তত্কালীন ব্রিটিশ সরকার।
গোটা টেমস নদী জুড়ে যেন রঙের সমারোহ। সার দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে একহাজারটা ছোট ছোট নৌকো। আর সেই হাজার নৌকার সমারোহ দেখতেই টেমসের দুই পারে ভীড় জমিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
রানি এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের হীরকজয়ন্তী উত্সবের শুরুতে এভাবেই সেজে উঠল ব্রিটেন।
বিশ্বযুদ্ধের রেশ তখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ইউরোপ। আয়তনের কিছুটা কমে এলেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্য তখনও অনেকটাই উজ্জ্বল। সময়টা দোসরা জুন, উনিশশো তিপ্পান্ন। ইতিহাসের সেই সন্ধিক্ষণে ব্রিটেনের সিংহাসনে অভিষেক হয়েছিল রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের।
তারপর ষাটটি বসন্ত পার করে এসেছেন রানী। এবারে সেই অভিষেকের ষাটবছরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতেছে গোটা দেশ। রবিবার টেমসে হাজার নৌকার পালের মাঝেই সোনার পাতে মোড়া বজরায় পরিবার আর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে সওয়ার রানি এলিজাবেথ। দশহাজার ফুলে সজ্জিত সেই বজরায় রানির সঙ্গেই হাজির ছিলেন এডিনবোরার ডিউক আর ডাচেস অব কেমব্রিজের মতো রাজবংশের প্রতিনিধিরা।
চারদিন ধরে রানির অভিষেকের হীরকজয়ন্তীর উত্সব শুরু হয়ে গিয়েছে শনিবার থেকেই। দুদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে ক্যামেরন প্রশাসন। ইংল্যান্ডের রাস্তায় রাস্তায় আয়োজন করা হয়েছে রোড পার্টির। এমনই একটি পার্টিতে হাজির হয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন প্রিন্স চার্লস। সোমবার বাকিংহাম প্যালেসের বাগানে বসবে সমারোহ। আতসবাজির মাঝেই আয়োজন করা হবে এক মহা সঙ্গীত সমারোহের। যেখানে স্যার পল ম্যাকার্টনির সুর নতুন বসন্তকে মনে করিয়ে দেবে ছিয়াশির রানিকে।