ফাদার্স ডে-তে কিমকে ফোন করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প!
সাক্ষাতের পর কিম সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত প্রশংসাই শোনা গিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে। বৈঠকের আগে পরস্পরকে যে বিশেষণে বিষোদাগার করতেন, ঠিক তার উলটো ছবি দেখা যাচ্ছে এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথাবার্তায়
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপদে পড়লে ফোন করো...
মঙ্গলবার বৈঠকে পার্সোনাল ফোন নম্বরটি দিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে এই কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কোনও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নয়, একেবারে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনে যে কোনও সময় কথা বলতে পারেন কিম। দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে এ ভাবেই কাছে আসার সিঁড়িতে প্রথম ধাপে পা দিলেন ট্রাম্প এবং কিম। তাই পালটা পিয়ংইয়ং-র অফিসের ল্যান্ড নম্বর দিয়েছেন কিম জং উন-ও।
আরও পড়ুন- চিনা পণ্যে ফের বাড়তি আমদানি শুল্ক বসালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
এক সাক্ষাত্কারে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করা হয় এ বার ‘ফাদার্স ডে’-তে কী করবেন তিনি? তার উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “উত্তর কোরিয়ার মানুষের সঙ্গে কথা বলব। সেখানে বসবাসকারী মার্কিন নাগরিকদের সঙ্গেও সময় কাটাবো ফোনে।” তাঁদের এই ফোন নম্বর চালাচালি হয়েছিল সিঙ্গাপুর বৈঠকেই। সে দিনই ৩৪ বছর বয়সী ‘বেঁটে রকেটম্যান’-কে সস্নেহে ‘বুড়ো ভাম’ জানিয়েছিলেন, যে কোনও সমস্যায় সরাসরি ফোন করতে পারেন কিম।
আরও পড়ুন- জিনপিংয়ের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা কিমের
সাক্ষাতের পর কিম সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত প্রশংসাই শোনা গিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে। বৈঠকের আগে পরস্পরকে যে বিশেষণে বিষোদাগার করতেন, ঠিক তার উলটো ছবি দেখা যাচ্ছে এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথাবার্তায়। ‘বেঁটে রকেটম্যান’ হঠাত্ করেই সত্ এবং ভাল মানুষ হয়ে যাওয়ায় ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। সে সব সমালোচনায় কর্ণপাত না করে তিনি বলেন, “তোমরা নিশ্চয়ই জানো কেন এমন করছি। আমি চাই না তুমি এবং তোমার পরিবারের পরমাণু অস্ত্র হামলায় মৃত্যু হোক। এই কারণে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলছি।”
আগামিকাল পিয়ংইয়ং-এ ফোন করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিমের সঙ্গে কথা বলবেন কি-না তা উল্লেখ করেননি।