Durga Puja 2022 : টরন্টোর বঙ্গপরিবারের অঙ্গ দুর্গাপুজো
Durga Puja 2022: কানাডার আরও এক পুজো। তবে এই পুজোয় প্রতিমায় রয়েছে অদ্ভুত এক মায়া। মায়ের গায়ের রঙ কালো, পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি। মায়া- মমতায় জড়ানো মায়ের প্রতিমা। সেই প্রতিমা দেখতে আগে প্রায় ৪০০০ জনের মানুষের ভিড় জমতো। করোনাকালে সেই পুজো মাত্র ২০ জনে এসে দাঁড়িয়েছিল। তবু পুজো থেমে যায়নি...
ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য
এই তো বঙ্গদেশ, রঙ্গে ভরা বঙ্গপরিবার। সেই বঙ্গ দেশের অনুগামীরা যখন দেশের বাইরে চলে যায়, সেই দেশে কিছু চমক তো ঘটাবেই। এরকমই একটি চমক হল কানাডার টরন্টোর বঙ্গ পরিবারের দুর্গা পুজো। সে আজকের পুজো নয়, ২০১৫ সাল থেকে কানাডায় এই পুজো চলে আসছে। আর এই কয়েক বছরেই সবার মন কেড়ে নিয়েছে। তবে এই পুজোর নিজের মতো করে বেশ কিছু বৈশিষ্ট আছে। আজও অধিকাংশ বাঙালি দুর্গা ঠাকুরের মধ্যে মমতার ছায়ার সন্ধান করেন। এই পুজোর প্রতিমার গঠনে মমতার ছাপ যেন স্পষ্ট।
তবে শুধু এটুকুই নয়। প্রতিমাটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট আছে। এই পুজোয় দেবীর গায়ের রঙ কালো, পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি। আদল যেন একদম নিজের মায়ের মতোই। সেই প্রতিমার দিকে তাকালেই যেন ভালবাসা আর অনুভব করা যায়। এই ভালোবাসা, একাগ্রতা বাঙালিদের যেন বহু আগে থেকেই পরিচিত। অসম্ভব সুন্দর ও মায়াভরা প্রতিমাটি শুভমিতা দিন্দার সৃষ্টি। তবে আর পাঁচটা পুজোর মতোই বিগত দু’বছর এই পুজোর উপর দিয়েও অনেক ঝড়-ঝাপটা গিয়েছে। কিন্তু একারণে পুজোর কোনও কিছু থেমে থাকেনি। আসলে তাঁরা থেমে থাকতে দেয়নি। প্রায় চার হাজার মানুষের এই পুজো। কিন্তু প্যান্ডেমিকে সেই পুজো দাঁড়িয়েছিল মাত্র কুড়ি জনে। তাও অনলাইনে কালচারাল, ভোগ, ছোট্ট ঘরের পুজোয় আন্তরিকতার একটুকুও কমতি হয়নি।
পড়ুন: বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
পুজোর আয়োজনেও কিন্তু কোনওরকম আপস করা হয় না। একশো আট পদ্মের সন্ধিপুজো, একেবারে এলাহী ভোগের আয়োজন। তাছাড়াও এই বছর রয়েছে স্থানীয় এবং বাইরের শিল্পীদের নিয়ে বিশাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বাচ্চারাও কিন্তু মুখ্য ভূমিকা নিচ্ছে এখানে। এর পাশাপাশি থাকছে পুজাবার্ষিকী, বাংলা বই, গয়না, শাড়ির স্টল, আরও কত চোখ ধাঁধানো বাহার। এবছর ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাস্যাডার পুজোর উদ্বোধন করবেন। এই পুজোর ম্যাগাজিনের নাম ‘ত্রিনেত্রা’। তাতে নানা লেখকের মননশীল লেখা থাকবে। তবে এই পুজো করতে যে আরও কতরকমের ঘটনা ঘটে, তা তো দর্শনার্থীরা জানতে পারেন না। নানা মুনির নানা সত। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয় না। পুজোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতেই থাকে, কিন্তু দিন শেষে সবাই আবার বন্ধু। সবাই মিলেমিশে কাজ করলে এইটুকু ঝক্কি তো থাকবেই! এখন কানাডায় ঠান্ডা পড়ছে, বরফের মরশুম চলে এল বলেই। কিন্তু আবেগের উত্তাপে নিজেদের সেঁকে নিচ্ছে কানাডার বাঙালি।
আরও পড়ুন : Durga Puja 2022 : মেম্ফিসে পুজো শুরু করে, নিজেই পুজো করেছেন ৪০ বছর!